২০১৬ সালের ১৪ মার্চ গুজব রটিয়ে হামলা চালিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে গলা কেটে হত্যা, শতাধিক নারী ও পুরুষ কর্মীকে পুড়য়ে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদ এবং আসামিদের বিচার দাবিতে শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে হেযবুত তওহীদ শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেরপুর নিউ মার্কেটে অবস্থিত ইনিস্টিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়নে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মো. মুমিনুর রহমান পান্না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বর্তমান সময়ে নেতিবাচক গুজব সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। ধর্মান্ধতা, অন্যায়, শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫১ বছর পরও গুজব ও হুজুগের তান্ডব দেখতে হচ্ছে। বিগত দিনে বারবার গুজব রটিয়ে হামলা, হত্যা, অগ্নি সন্ত্রাসের মতো তান্ডবলীলার ঘটনাও ঘটেছে। কোরআন অবমাননা, রাসুলকে অসম্মান করা ইত্যাদি নানা প্রকার গুজব ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের শত শত বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্ম ব্যবসায়ী শ্রেণী গুজব ছড়িয়ে ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ হামলা চালিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে গলা কেটে হত্যা, শতাধিক নারী ও পুরুষ কর্মীকে পুড়য়ে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে। এসব প্রতিরোধে এখনই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে সুস্থ চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। যাতে গুজব ছড়িয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শেরপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মুমিনুর রহমান পান্না। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সাদিক,সাংগঠনিক সম্পাদক মাফিজুর রহমান আলিফ, রাজনৈতিক সম্পাদক সুমন মিয়া,শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আতাউর কবির এনামুল,নারী সম্পাদক নুসরাত জাহান শারমিন প্রমুখ।