রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ জনপদের কাঁচা সড়কগুলোর এখন বেহাল দশা। এজন্য আন্তঃ উপজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। পথচারীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশু কিশোররা তাই ধুলোবালির পথ মাড়িয়ে প্রতিদিন যাতায়াতের করছে। ফলে এসব শিশু স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও পড়ছে। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তা পাকা করন জরুরী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চতরা ইউনিয়নের চতরা-টোংরারদহ ৩ কিঃ মিটার,বড়আলমপুর ইউনিয়নের ফুটানির বাজার হতে ধর্মদাশপুর পর্যন্ত ২ কিঃ মিটার,রামনাথপুর ইউনিয়নের ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় দিনরাত বালু পরিবহনের কাজে নিয়োজিত মাহিন্দ্র চলাচল করায় অনেকগুলো ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সাধারন মানুষকে পায়ের জুতা স্যান্ডেল খুলে পথ চলতে হয়। তাছাড়া সিএনজি, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, ভ্যানসহ চলাচলকারী অন্যান্য যানবাহনগুলো প্রায়ই উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে। রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাগপুর ও কাবিলপুর ইউনিয়নের কৃষ্টপুর -পদুঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এগুলোতে যাতায়াতকারী ছাত্র-ছাত্রী বর্ষাকালে পিচ্ছিল হওয়ায় এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে। ফলে চেরাগপুর, জামদানী,দারিয়াপুর,বড় করিমপুর, কৃষ্টুপুর, সরলিয়া,বেতকাপা,জামালপুর,জয়পুর গ্রামসহ শুধুমাত্র কাবিলপুর ইউনিয়নেরই হাজার হাজার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিশুরা বলছেন,শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালীর কারণে পরনের পোশাক প্রতিদিন পরিস্কার করতে হয়। অতিরিক্ত ধুলোবালির কারণে মুখে মাক্স পরে এ পথে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষা মৌসুমেও কাদা মাটি পরনের জামায় লেগে যায়। যে কারণে ২/৩ টি করে স্কুল ড্রেস এর দরকার হয়। এসব শিক্ষার্থীদের পরিবারের অনেকেরই সে সামর্থ নেই। কারো কারো মাত্র ১টি ড্রেস রয়েছে। কোমলমতি শিশুরা জরুরী ভিত্তিতে ওই রাস্তাটি পাকা করনের দাবি জানিয়েছে। কৃষ্টুপুর গ্রামের জহুরুল হোসেন বলেন, উপজেলা সদরে যোগাব্যবস্থা জোরদারে জন্য মজবুত একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা পাকা না হওয়া পর্যন্ত এলাকার লোকজন উপজেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন না। এজন্য তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্য বাজারজাত করনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন বলেন, কাবিলপুর ইউনিয়নিয়নবাসির উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র সোজা এবং সহজ এই রাস্তাটি। কাবিলপুর থেকে উপজেলা সদর প্রায় দশ ১০ কিলোমিটার পথ। সেখানে অতিরিক্ত ৭/৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে করে লোকজনের সময় এবং অর্থ দুটোই ব্যয় হচ্ছে। রামনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ছাদেক হোসেন বিএসসি বলেন- এ রাস্তাটি পাকা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। শীঘ্রই এটি পাকা করন করা হবে।