রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য অনুমোদিত কমিটিতে পূর্ববর্তী কমিটির ত্যাগী- পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দরা। সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে এই সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ পদ ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: আব্দুল মতিন। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা: আশুতোষ বড়ুয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জমির উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: হানিফ, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো: জাকির হোসেন সেলিম, সাবেক উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অমর কুমার দে, সাবেক সদস্য জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাবেক সদস্য নুরুল আজম চৌধুরী, সাবেক সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন গ্রুপিং রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা। আমরা চাই বর্তমান নতুন অনুমোদিত জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সাবেক কমিটিতে যারা ছিলেন সেসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হোক। এ জন্য নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর ২০২২ইং তারিখে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। এতে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পূর্বের কমিটির ১৮জনসহ ত্যাগী পরীক্ষিত, সাংগঠনিক কার্যক্রমে দক্ষ ও শারীরিকিভাবে সক্ষম নেতৃবৃন্দকে এবং ৭৫ পরবর্তী কঠিন দুঃসময়ের ত্যাগী ও পরীক্ষিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ বড়ুয়াসহ ১৯জনকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং তারিখে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের আরো একটি কমিটি প্রেরণ করা হয়। এতে দেখা যায়, দীপংকর তালুকদার ও মুছা মাতব্বর ব্যক্তির স্বার্থে অন্ধ হয়ে দলকে একটি সিন্ডিকেট কমিটিতে পরিণত করার জন্য ৭৫ পরবর্তী দরের কঠিন দুঃসময়ে দলকে যারা তিল তিল করে আজ পর্যন্ত শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেছেন, তাদেরকে বনাদ দিয়ে এবং চরম অবমূল্যায়ন করে বিভিন্ন উপজেলা ও সদ্য বিএনপি থেকে আগত লোকজন দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যামান বিভিন্ন উপজেলা ও সহযোগী সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও ২৭জনকে জেলা কমিটিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে দ্বৈত দায়িত্বে আনা হয়েছে। এতে দলের শক্তিকে সংকুচিত করা হয়েছে। যদি দ্বৈত দায়িত্বে না এনে যদি দীর্ঘদিনের ত্যাগী পরীক্ষিত ও যোগ্য লোকদের রাখা হতো তাহলে দলের শক্তি অনৈকগুন বৃদ্ধি পেত। এই সমস্ত কারণে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগ নেতাকর্মীরা চরম হতাশা ও অপমানিত বোধ করছে। এই অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নিকট আকুল আবেদন দীপংকর তালুকদার ও মুছা মাতব্বর ভবিষ্যতে নিজেদের অবস্থান সংহত করার জন্য দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কৌশল করে একটি কমিটি অনুমোদন করে এনেছেন। এতে আগামীতে দরকে মারাত্মক দূর্বল করবে বলে আমরা মনে করি। এই অবস্থায় দীপংকর তালুকদার ও মুছা মাতব্বর কর্তৃক একপেশে কমিটি করেছে তা পুনরায় সংশোধন বা রদ বদল করে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা কর্মীদের সংযুক্ত করে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকার সুযোগ করে দেয়ার দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা।