ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরে আবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মটর সাইকেল চুরি এখন নিত্য দিনের ঘটনায় পরিনত হয়েছে। বুধবার ভোর রাতে কালীগঞ্জে থানা সংলগ্ন মেল্লা ষ্টোর ও কলেজ রোডের শেখ এন্টার প্রাইজ ও কাশিপুর থেকে জিয়া সবজি ভান্ডার নামের ৩টি মুদিখানা দোকানের সামনে থেকে ৯ ড্রাম (সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, পামওয়েল তেল) চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মোল্লা ষ্টোর থেকে ৩ ড্রাম, শেখ এন্টার প্রাইজ থেকে ৪ ড্রাম ও কাশিপুরের জিয়া সবজি ভান্ডার থেকে ২ ড্রাম তেল চুরি করে নেয় চোরেরা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার পরে দোকান গুলোতে পর্যায়ক্রমে তেলের ড্রাম গুলো সিনেমাটিক স্টাইলে চুরি করে চোরেরা। মোল্লা ষ্টোরের মালিক আবদুর রশিদ মাখন জানান, আমার দোকানের সিসি ক্যামেরায় দেখতে পায় ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পিকআপ গাড়িতে ৭/৮ জন লোককে তেলের ড্রাম গুলো তুলতে দেখা যায়। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরায় ভোর রাত ৪টা বেজে ১২ মিনিটের সময় মুরগী হাটার কলেজ রোডস্থ শেখ এন্টার প্রাইজ থেকে একই পিকআপ গাড়িতে ৪ ড্রাম সরিষার তেল তুলতে দেখা যায়। এর আগে আনুমানিক ভোর রাত সাড়ে ৩টার সময় কোটচাঁদপুর রোডস্থ কাশিপুর জিয়া সবজি ভান্ডারের সমনে থেকে ২ ড্রাম তেল পিকআপ গাড়িতে তোলে বলে জানান কাশিপুর বাজারের এক চায়ের দোকানদার। এভাবে তিনটি দোকান হতে ৯ ড্রাম ভোজ্য তেল চুরি করে নিয়ে যায়। মুরগী হাটার কলেজ রোডের নাইটগার্ড আক্তার হোসেন জানান, ঘটনার সময় মুরগী হাটার দোকানের সামনে তিনি সেহেরী খাচ্ছিলেন। এ সময় তার পাশে কাঁচামাল হাটার একজন নাইড গার্ড বসা ছিল। হটাৎ গাড়ির শব্দ শুনে আমি তাকে পাঠায়। নাইটগার্ডকে এগিয়ে আসতে দেখে পিকআপটি চলে যাওয়ার সময় তাকে ধাক্কা দেয় চোরেরা।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহিম মোল্লা জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে গিয়েছিলাম। তেল চুরির ঘটনায় মামলা হবে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩ নভেম্বর ভোর রাতে কালীগঞ্জে মেইন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কোটচাঁদপুর মহাসড়কের পাশে রায় স্টোর মুদিখানার দোকান থেকে ৩ ড্রাম পাম ওয়েল চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানটির সামনে বেশ কয়েক ড্রাম পামওয়েল প্রতিনিয়ত থাকতো সেখান থেকে ৩ ড্রাম পাম অয়েল চুরি করে চোরেরা। যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকা। পরের দিন ৪ নভেম্বর’২২ রায় স্টোরের স্বত্বাধিকারী সঞ্জয় রায় বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সঞ্জয় রায় জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ার ওই দিন আনুমানিক রাত ১০টার সময় খবর আসে ফরিদপুর জেলা কামারখালি বাজারে তেল বিক্রয় হচ্ছে। তখনই আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই শামিমকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে আর গুরুত্ব দেননি। যে কারণে তার চুরি হওয়া তেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।