জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের সম্মুখে ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত ২০০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ২০২০ সালের বন্যায় পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর গত তিন বছরেও সেতুটি সংস্কার না করায় ৩ উপজেলার ২৫ গ্রামের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত, কৃষিপণ্য বাজারজাত করণ,বিভিন্ন মালামাল পরিবহন এবং স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরদের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ি,মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ এই তিন উপজেলার ৪ ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত সহজ করতে ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় কামরাবাদ ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত শুয়াকৈর সেতুটি। ২০২০ সালের বন্যায় সেতুটি পানির প্রবল তোড়ে ভেঙ্গে গেলেও আজ পর্যন্তা সেতুটি পুনঃ নির্মাণ কিংবা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের দুঃথ দূৃর্দশা চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে নিত্য কৃষিজাত পণ্য বাজারজাত করণ, মুমূর্ষু রোগী কিংবা প্রসুতি মহিলাদের হাসপাতালে পৌঝানো, মালামাল পরিবহন খরচ ও সময় দুটোয় ব্যহত হচ্ছে।
শুয়াকৈর গ্রামের কলেজ পড়-য়া শিক্ষার্থী লাবনী আক্তার বলেন, শুকনো মৌসুমে আমরা স্কুল কলেজে পায়ে হেটে কয়েক কিলো রাস্তা ঘুরে লেখাপড়া করতে গেলেও বর্ষা মৌসুমে পড়তে হয় আমাদের চরম দূর্ভোগে। খেয়া পারাপারে লোকের ভীড়ে কখনো চড়তে পারিনা ,কখনো নৌকা তলিয়ে যায় কখনো আবার ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে সময় নষ্ট হয়। ফলে আমনা ঠিকমত পড়ালেখা করতে পারিনা। চাকরীজীবি স্কুল শিক্ষিকা মনোয়ারা বেগমও অই একই কথা জানালেন ইত্তেফাককে ।
শুয়াকৈর গ্রামের বাসিন্দা বিলাত আলী দুঃখ করে বলেন, পাকিস্তান আমলে এই শুয়াকৈর গ্রামেই সরিষাবাড়ি উপজেলার প্রথম আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছিলেন, মরহুম ডাঃ মোজাহার আলী, এবং মরহুম গণি সরকার ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। অথচ এই গ্রাম আজ অবহেলিত। ২০০৬ সালে বিএনপি সরকার ব্রিজটি করে দিয়েছিল। অথচ র্দীঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেও আমরা সে উপকার পাচ্ছিনা। তাইলে এতদিন আমরা আওয়ামী লীগ করে কি করলাম।
সরিষাবাড়ি উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহিদ হাসান বলেন,আমি শুযাকৈর গ্রামের সেতুটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি জন গুরুত্বপূণ্য বিধায়,আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। উনি বলেছেন পরকর্তীতে কোন প্রকল্প শুরু হলে আমরা কাজটি করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। তবে ৩ উপজেলার চরাঞ্চলের ৪ ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের কষ্ট লাগবে দ্রুত শুয়াকৈর সেতুটি পুনঃ সংস্কার অথবা মিার্ণাণ করে দিবেন সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসির।