শীর্ষ সন্ত্রাসী নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলার মুল আসামি ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবদুর রাজ্জাক ওরফে চিকে আবদুর রাজ্জাক (৪৫) কে র্যাবের সহায়তায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুজল চন্দ্র দেবনাথ সোমবার (৩ এপ্রিল) বগুড়া শহর এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে।
চিকে আবদুর রাজ্জাক মহিষাবান ইউনিয়নের ৮ ওয়ার্ড ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও মহিষাবান বকরিভিটা এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। মামলর পর হতে সে গ্রেপ্তার এড়াতে পলাতক ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মডেল থানর এস আই সুজল চন্দ্র দেবনাথ জানান, বগুড়া র্যাব-১২ সহায়তায় সোমবার বগুড়া শহর এলাকা হতে নয়ন হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি আবদুর রাজ্জাক ওরফে চিকে আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে নয়ন হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত তাজুল ই্সলাম, সাগর, রকি, জনি, সাকিল আরো ৫ আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাককে করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
১১ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় মহিষাবান ইউনিয়নের মড়িয়া কবিরাজ বাড়ির মৃত মোফাজ্জল হোসেন ড্রাইভারের ছেলে সন্ত্রাসী নাহিদুল ইসলাম নয়ন (২৬)কে, একই গ্রামের দোবোত্তরপাড়া সিরির বাড়ির কাছে একটি নির্জন বাঁশ বাগানের মধ্যে পুর্বশত্রুতার জেরধরে আসামিরা রাত ৯ টায় পরিকল্পিতভাবে ডেকেনিয়ে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুবৃর্ত্তৃরা।
ঘটনার পরদিন রোববার ১২ মার্চ রাতে গাবতলী মডেল থানায় নয়নের মা নারগীছ বেগম বাদী হয়ে, ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক ওরফে চিকে আবদুর রাজ্জাককে মুল আসামি করে, ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খুন হয় বলে পুর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা পুলিশকে এতথ্য জানিয়েছে। পুলিশ জানায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার ছাড়াও, হত্যার পিছনে অন্যকোন কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন ও তদন্ত করছেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী নয়নের নামে ডাকাতি, ছিনতাই, সন্ত্রাসী, মাদকসহ ২০টি মামলা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়নকে একাধিকবার গ্রেপ্তারও করেছিল।