যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কোটা গ্রামে একটি রাস্তা এলাকাবাসীর অর্থায়নে মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছে। অথচ ওই রাস্তা সংস্কারের নামে প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম রসুল তরফদার। এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, গত ১০ দিন পূর্বে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামে সয়াল ঘাটের রাস্তা নামে পরিচিত একটি মাটির রাস্তা এলাকাবাসীর অর্থায়নে মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়েছে। মফিজ খন্দকারের বাড়ি হতে ওমর খন্দকারের বাড়ি পর্যন্ত, প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়। ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জাকির হোসেন তরফদার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্তমান মেম্বার গোলাম রসুল তরফদার যে প্রকল্পের জন্য পিআইও অফিসে আবেদন করেছেন সে রাস্তায় ইটের সলিং রয়েছে। ইকতার খন্দকারের বাড়ি পর্যন্ত কোন সরকারি রাস্তা নাই। অথচ মাটি ফেলে ওই রাস্তা সংস্কারের আবেদন করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল শনিবার পিআইও অফিসের দুইজনকে নিয়ে আবেদনকৃত রাস্তা পরিমাপ না করে সয়াল ঘাটের রাস্তা পরিমাপ করা হয়েছে। যে রাস্তা গত ১০ দিন পূর্বে এলাকাবাসীর অর্থায়নে মাটি ফেলে সংস্কার করা হয়।
এ বিষয় ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম রসুল তরফদার মুঠোফোনে জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। রাস্তা সংস্কারের জন্য কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ৩ টন চাল চেয়ে পিআইও অফিসে আবেদন করেছি। রাস্তায় মাটি ফেলে উঁচু করাসহ প্যালা সাইডিং করা হবে। চলিশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সানা আবদুল মান্নান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয় সোমবার (৩এপ্রিল) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কোটা গ্রামে ইজহার খন্দকারের বাড়ি হতে ইকতার খন্দকারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি দ্বারা সংস্কার নামে একটি প্রকল্পের আবেদন জমা দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম রসুল তরফদার। দুই দিন পূর্বে জানতে পেরেছি, এলাকাবাসীর অর্থায়নে ওই রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার দুই পার্শ্বে ড্রামসিট বল্লি দিয়ে প্যালা সাইডিং অথবা ইটের সোলিং করতে মেম্বারকে বলা হয়েছে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পিআইও কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।