ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসষ্ট্যান্ড থেকে ভায়া আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর হয়ে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কে পূর্বে প্রায় প্রতিদিন রাতে দুর্ঘটনা লেগেই ছিলো। দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে প্রথমবারের মতো ব্যস্ততম আঞ্চলিক এ মহাসড়কের প্রায় ১৮ কিলোমিটার অংশে বসানো হয়েছে রিফ্লেকটিভ লাইট। যেকারণে মাত্র একমাসের মধ্যে এ সড়কে কমেছে দুর্ঘটনা। রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপনের ফলে রাতে পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনের হেড লাইটের আলোয় সড়কের মধ্যবর্তী ও দুই পাশের লেইন হচ্ছে আলোকিত। রাতে সড়কটি শোভা ছড়ানোর পাশাপাশি সড়কের লেইন বুঝতে সহজ হচ্ছে যানবাহনের চালকদের। রাতে সড়কে চলাচলরত গাড়ির হেড লাইটের আলো রিফ্লেকটিভ লাইটের ওপর পরতেই জ¦লে উঠছে সড়কের মধ্যবর্তী ও দুই পাশের লেইন। ফলে নির্দিষ্ট লেইনে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত হওয়ায় ইতোমধ্যে সড়কে কমেছে দুর্ঘটনা। নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে যানবাহন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন আঞ্চলিক এ মহাসড়কের গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়া হয়ে পয়সারহাট পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে পিএমপি’র আওতায় প্রথমবারের মতো বসানো হয়েছে তিন হাজার পাঁচশ’ টি রিফ্লেকটিভ লাইট। রিফ্লেকটিভ লাইটগুলো যেকোন ভারী যানবাহানের চাঁপ সহ্য করতে সক্ষম। এ রুটের বাস চালকরা জানিয়েছেন, রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপনের ফলে ঘণ কুয়াশায়ও তাদের রাস্তা দেখতে সমস্যা হয়না। এ ছাড়া সড়কের বাঁকগুলোও তারা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছেন। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি সড়ক। তাই এ সড়কের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে বরিশাল-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট পর্যন্ত অতীতের দুর্ঘটনাপ্রবণ প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে ৩৫’শ রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপন করা হয়েছে। ফলে আগের চেয়ে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা কমাতে ইতোমধ্যে বরিশালের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কেও রিফ্লেকটিভ লাইট স্থাপন করা হয়েছে।