পুঠিয়ায় আবহাওয়া ও জলবায়ু অধিদপ্তরের অর্থায়নে পৌরসভা ১ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি নিস্কাশনের ড্রেনটি পৌরবাসীর উপকারে আসছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় পৌরবাসীরা বলছে, বরং ড্রেনের পানি জমে থেকে মশামাছিসহ বিভিন্ন পোকাড় উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ অর্থ বছরে আবহাওয়া ও জলবায়ু অধিদপ্তরের অর্থায়নে পৌর এলাকার ৭/৮নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্য ১ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য দৈর্ঘ্য ২৯৭ মিটার ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। ৭/৮নং পৌর ওয়ার্ডেবাসীদের অভিযোগ,উপজেলা সদরের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পার্শ¦বর্তী কাঁঠালবাড়ি বিলে বর্ষার সময়ে জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে। যারজন্য,আব্দুল মালেক মাষ্টারের বাড়ি হতে ঝলমলিয়া হাটের নিকট মূসাখাঁ নদী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করলে এই জলাবদ্ধতা থাকবে না। এলাকাবাসীদের অভিযোগ তুলেছেন,পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেনের প্রথমাংশের কাজ না করে, রহস্যজনক ভাবে ড্রেনের মাঝখানে নির্মাণ করেছে। বাদশা নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ তুলে বলছে, সাবেক মেয়র রবিউল ইসলাম রবি কিছু মানুষের সঙ্গে শত্রুতা করে মাঝখানে ড্রেন করে মাটিগুলো তার এবং পরিবারের সদস্যদের নীচু স্থানগুলি পুরন করেছে। পুঠিয়ার ঢাকা-রাজশাহীর মহাসড়কের পাশে ২৯৭ মিটার দৈর্ঘ্য ড্রেনটি বাড়ির মালিক এবং শতাধিক দোকানদারদের গলার কাটা হয়ে দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বলছে,বর্তমানে ড্রেনের পানি জমে থেকে মশামাছিসহ বিভিন্ন পোকাড় উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। যে লক্ষ্যে জলাবদ্ধতা দূর করার উদ্দেশ্যে ড্রেনটি নির্মাণ করতে চেয়ে ছিল পৌর কর্তৃপক্ষ তা করতে পাড়িনি। শুধুমাত্র ভোগান্তি বেড়েছে। তারপর, নির্মাণ করা ডেনটি দিনদিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সেটাকে পৌর কর্তৃপক্ষ পরিস্কার করছে না। মহাসড়কের পাশে থাকা খননকৃত ড্রেন বাধ্য হয়ে ব্যক্তিগত ভাবে ভরাট কিংবা নিজ উদ্যেগের ড্রেন নির্মাণ করে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ড্রেনটি আমার দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগে নির্মাণ করেছেন এক সাবেক মেয়র। আমার মনে হয়েছে,ড্রেনটি যেকোনো এক মাথায় থেকে করলে ভালো হতো এবং ড্রেনের পানি বেঁধে থাকতো না।