আদালত অবমাননা করে যশোরের কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর বাজারের প্রাণকেন্দ্রর একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রতিপক্ষরা ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের হাশেম আলী শেখ ৩৪ বছর আগে সবুর গাজীর কাছ থেকে সাড়ে ১২ শতক জমি ক্রয় করে বসত বাড়িসহ বিভিন্ন দোকানপাট ভাড়া দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন। এর ১০ বছর পর সবুর গাজীর ছেলে সাখাওয়াতগং এর কাছ থেকে একই দাগের ৩.৭৫ শতক জমি রফিকুল ইসলাম গাজী ক্রয় করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে রফিকুল ইসলাম গাজী তার জমিতে পাকাঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। হাশেম আলী শেখের অভিযোগ, গত ৩০ মার্চ রফিকুল ইসলাম গাজী ঘরের পিলার করার সময় গাযের জোরে আমার বসতবাড়ির দক্ষিন পাশের ছাঁদ ভেঙে জোর পূর্বক নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও ছেলে আরিফুল ইসলামকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রেজোয়ান রফিকী, রমজান আলীসহ ৭ জনকে আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এতেও ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ না হওয়ায় হাশেম আলী শেখ যশোর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু আদালতের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই প্রভাবশালীমহল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম গাজী বলেন, আমি জমি মেপে ঘরের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। রফিকুল ইসলাম দোতলার অংশে ঘর করার সময় এক ফুট বাড়িয়ে করেছে। তাকে ভাঙতে বললেও সে কর্ণপাত না করায় তা ভেঙে ঘরের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা তা আমি জানি না কেশবপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, হাশেম আলী শেখ থানায় অভিযোগ করার পর আমি উভয়পক্ষকে নোটিশ করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা হাজির হলেও তিনি হাজির হননি। তিনি আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা করলেও এখনও নোটিশ জারি হয়নি।