বাগমারা উপজেলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম সোহাগ হোসেন (১৯)। সে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে। আর এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিন আসামি দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগের নানা ইয়াসিন, মামা ইমরান ও মা রূপালি বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহা. হাসানুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ টলির হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউর (পিপি) অ্যাডভোকেট নাসরিন আখতার মিতা জানান, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাঝগ্রাম মোল্লাপাড়ার আবদুল হান্নানের মেয়ে সাবিনা খাতুনের আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সোহাগের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২১ সালের শুরু দিকে পরিবারের অমতে সাবিনাকে বিয়ে করেন সোহাগ। কিন্তু সোহাগের তুলনায় সাবিনার বয়স বেশি এবং ডিভোর্সি অজুহাতে পারিবারিক কলহ শুরুর একপর্যায়ে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় নিজ ঘরেই শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করেন সোহাগ। এ ঘটনায় সোহাগসহ চারজনের নামে মামলা করেন সাবিনার মা।
অ্যাডভোকেট মিতা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় সোহাগের বয়স ১৭ বছর থাকলেও বর্তমানে তার বয়স ১৯ বছর পার হয়েছে। তাই শিশু আইনে তার বিচার হলেও বয়স বিবেচনায় তাকে শিশু সংশোধনাগারে না পাঠিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।