ছোয়ালটাক প্রতিদিন ওষুধ খাবার টাকা যোগাঢ় করি দেয়া মুশকিল হই উঠিছে। ওষুধ খাবার টাকা চাহে, যোগাঢ় করি দি। কিন্তু এতদিন যাবৎ কি ওষুধ খাচে শুনিবা যাই আশমানটা মাথাত ভাঙ্গি পড়িল। এখন শুনেছো ওষুধ না হয় ঐলা বেলে ড্রাগ! হামেরা ড্রাগ কি জানি না, সবায় যখন কহিল মাদক, তখন আর ওয় হামার কাঁথা শুনে না, হামাক তোয়াক্কা করে না। টাকা দিবা না পারায় এখন গলাত ছুরি ধরেছে। হামাক স্বামী-স্ত্রীকে জীবনে মারি ফেলাবার জন্যে উঠি পরি লাগিছে। মেম্বারসহ প্রতিবেশীরা আগাই না আসিলে আইজ হামার লাশ দেখা পাইলেহোন। বাড়ীর যখন যা মালামাল পায় তাই নিয়ে বাহিরে বিক্রি করে নেশা করে চলছে সাজ্জাদ। স্থানীয় ভাষায় এ কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার ৫ নং বিরল ইউনিয়নের সাবইল গ্রামের মাদকাসক্ত সাজ্জাদ এর গর্ভধারিনা মা আলেয়া বেগম ও পিতা আজিম উদ্দিন। বৃহষ্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট নিজের মাদকাসক্ত ছেলের হাত থেকে জীবনে রক্ষা পেতে স্বামী -স্ত্রী আবেদন জানাতে আসলে কথা হয় আমাদের প্রতিবেদক এর সাথে। এ দপ্তত্তি জানান, ৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে মাদকাসক্ত সাজ্জাদ ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে দিনাজপুর শহরের একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করছিল। কাজ করতে করতে কখন যে মাদকাসক্ত হয়ে উঠে পরিবারের কেউ জানতেন না। এখন মাদকের অর্থ যোগাঢ় করতে না পেরে পিতা-মাতাকে অর্থ যোগান দেয়ার জন্য অনব্রত চাপ দিয়ে বেশামাল করে তুলেছে সাজ্জাদ। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট নিজের মাদকাসক্ত ছেলের হাত থেকে জীবনে রক্ষা পেতে স্বামী -স্ত্রী লিখিত আবেদন জানান।