ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের প্রতিটি সড়কে রাত ১২ টার পর থেকে রিকশা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন থানা পুলিশ। এ নিয়ে রিকসা চালক, মালিক ও সাধারন যাত্রিরা ক্ষোভে ও হতাশায় পড়েছে। প্রায় দু, মাস ধোরে কালীগঞ্জ শহরে রাত ১২ টার পর থেকে রিকসা চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহিম মোল্লা। রিকসা ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনয়নের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘ বছর রাত ১২ টার পর থেকে পুলিশের সাথে কথা বলে ও শ্রমিক ইউনিয়েনের রাতে চালানোর জন্য পরিচয় পত্র দিয়ে চালানো হত। কিন্তু প্রায় ২ মাস কালীগঞ্জ ওসি সাহেব চুরি ডাকাতি কমানোর জন্য নাকি রাতে রিকসা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ করে রাতে রিকসা চলাচল না করায় দুরপাল্লার যাত্রিরা কালীগঞ্জ বাসষ্টান্ডে এসে তারা রাতে বাড়ি ফিরতে পারছে না। ফলে সারা রাত কালীগঞ্জ বাসণ্টান্ডের বিভিন্ন দোকানে বসে থাকতে হয়। রাতে অনেক অসুস্থ মানুষ রিকসার অভাবে হাসপাতালে নিতে পারছে না। অনেকে গ্রাম এলাকার ভ্যান রিকসায় রোগি হাসপাতালে আনলে পুলিশ সে সব চালকদের মারপিট করে থাকে। হোমিও ডাক্তার দিলিপ বাবু বলেন, রাতে ২ টায় ঢাকা থেকে বাসষ্টাডে নেমে রিকসা না পেয়ে তিনি পায়ে হেটে বাসায় ফেরেন। ভুক্তভোগি অনেকে বলছেন কালীগঞ্জ শহর থেকে রিকসা উঠিয়ে দেওয়া উচিত, কারণ অনেকে রাতে বা কেউ দিনে রিকসা চালিয়ে থাকেন। কালীগঞ্জে সড়কে রিকশা বন্ধ করে দেওয়ার এ সিদ্ধান্তকে তাদের 'রুটি-রুজির ওপর আঘাত' বলে অভিযোগ করছেন রিকশা চালকরা। আর রিকশা চালকের এই অভিযোগকেও সমর্থন করছেন অনেকে। কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী শ্রমিকলীগ, মটর শ্রমিক, রিকসা শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ৬ এপ্রিল রাতে এক আলোচনা সভা করেন। মভায় সিদ্ধান্ত হয় রাতে রিকসা চলাচল করতে না দিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রহিম মোল্লা জানান, রাতে এক সাথে ৪/৫ টা করে রিকসা চলাচল করতে পারবে। এ ছাড়া রাতে বিভিন্ন স্থানে ও পৌর এলাকার বাইরে রাতে রিকসা চলাচল না করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু পৌর এলাকায় চলাচল করতে পারবে বলে জানান।