আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে নিয়মনীতির তুয়াক্কা না করে ভিডব্লিউবি চক্রের তালিকা তৈরি, কার্ড ও ৩ মাসের চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
লিখিত আবেদনে জানাগেছে, গরীব দুঃস্থ ও ভূমিহীন শ্রমজীবি মানুষকে বাদ রেখে শোভনালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরকারি নিয়মনীতি অবমাননা করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ তালিকায় পূর্বে ভিজিডি কার্ড ছিল এমন মহিলাকে, পাকা বাড়ি ও জমির মালিককে, চাকুরিজীবি সন্তানের মাকে, ভারতে বসবাসকারীকে এমনকি অন্য উপজেলায় ভিজিডি কার্ড ছিল এমন ৩১ জন মহিলাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অনিয়মের ব্যাপারে অসহায় মানুষ কথা বলতে গেলেও ভ্রুক্ষেপ করা হয়নি। শুধু ভ্রুক্ষেপ নয় বরং অনিয়ম ও দুর্নীতি সমৃদ্ধ তালিকা অনুমোদন করিয়ে কার্ড বিতরণ করা হয় এবং কার্ডধারীরা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ ৩ মাসে চাউল উত্তোলনও করেছে।
অভিযুক্ত তালিকাভুক্তদের মধ্যে বাশিরামপুর গ্রামের রোজিনা, মজগুরখালী গ্রামের পূর্ণিমা মিস্ত্রী, হাজীপুর গ্রামের তাছলিমা, তুহিনা, নূরী ইরানি ও শাহিদা, কাটাখালী গ্রামের রাশিদা, আনোয়ারা, হিমালা রানী মন্ডল, বসুখালী গ্রামের মারুফা, নাছিমা (স্বামী ইয়াছিন গাজী), নাছিমা (স্বামী খোরশেদ), কামালকাটি গ্রামের অঞ্জনা রানী দাশ, দিপ্তীয়া, ফতেমা, কৈখালী গ্রামের রীতা মন্ডল, স্যানচকের প্রিয়াংকা মন্ডল, গোদাড়া গ্রামের জামেলা, খলিসানী গ্রামের মিনতী সরকার, দিপালী বিশ্বাস, গোদাড়া গ্রামের রওশনারা, আনোয়ারা, বৈকরঝুটি গ্রামের ললিতা, রাজিয়া, শোভনালী গ্রামের জাহানারা, সাবিনা, বৈকরঝুটির সফুরা, শীলা রানী, সুপ্রিয়া ও শোভনালী গ্রামের রিয়া মনি। এদের মধ্যে কারো কারো পূর্বে ভিজিডি কার্ড ছিল, কারো ৩ বিঘা থেকে ১২ বিঘা জমি ও ১ তলা থেকে ২ তলা বিল্ডিং, একজন ১৫ বিঘা জমি হারি নিয়ে মৎস্য চাষ করছেন ও মৎস্য আড়ত মালিক, একজন ভারতে বসবাস করে এবং একজনের ভিজিডি কার্ড ছিল ও বর্তমানে শ্যামনগরে বিবাহ হয়েছে। প্রতিবাদকারীদের দাবী, কিভাবে অনিয়মের মধ্যদিয়ে তালিকা প্রস্তুত, উপজেলায় অনুমোদন, কার্ড বিতরণ এবং সবশেষ ৩ মাসের চাউল বিতরণ করা হলো। এগুলো পরীক্ষা নীরিক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তরা কি দায়িত্ব পালন করলেন? এদিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, চেয়ারম্যান সাহেব না থাকায় অনিয়মটা হতে পারে। চেয়ারম্যান সাহেবকে অভিমত প্রদানের জন্য জানানো হয়েছে। রমজানের পরে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।