ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতনের শিকার সেই বাবার পাশে শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম সহ তার প্রতিনিধি দল এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে জেলার মধুখালী পৌরসভার দাউলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া বাবা-ছেলের খোঁজ খবর নিতে যান।
এসময় নির্যাতনের শিকার বাবা ইয়ামিন মৃধার (৪০) হাতে তার মেয়ের জন্য শিক্ষা সামগ্রী ঈদ উপহার তুলে দেন।
একই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মধুখালী উপজেলার সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান সহ তার অনন্য শিক্ষক বৃন্দ।
এসময় মধুখালী উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন নির্যাতিত ইয়ামিন মৃধার মেয়ের শিক্ষার সকল দায়িত্ব আমরা নিবো। তার নিকটবর্তী যে স্কুল পছন্দ সেই স্কুলে তাকে ভর্তি করানো হবে। সেই সাথে তিনি অমানবিক নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত তাদের তিনি শাস্তি চান।
এক প্রশ্নের যেভাবে তিনি বলেন শিক্ষক ইসরাত জাহান লিপির বিরুদ্ধে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তা সম্ভবত ২-৩ দিনের মধ্যেই আপনারা সবাই রিপোর্ট পাবেন। এই তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না।
নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন মৃধা বলেন ঘটনার এতদিন পার হলেও শিক্ষক ইসরাত জাহান লিপি, রুমা আক্তার সহ বাকি আসামিদের কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আমি চাই তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি হোক।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ইয়ামিন মৃধা ও তার ছেলে রাজন মৃধাকে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। পরে সেই নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। ভিডিওতে মাঝকান্দির নাজিমউদ্দিনের মেয়ে রুমার নেতৃত্বে পাশবিক নির্যাতনের ভয়াবহতা ফুটে ওঠে। পরে এ বিষয়ে মধুখালী থানায় মামলা দায়ের হয়।