বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রূমিন ফারহানা বলেন, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠেছে। মানুষের মনে স্বস্থি নাই। শান্তি নাই। প্রতিবাদ করতে দিচ্ছেন না সরকার। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে গৃহবন্ধী করে রেখেছেন। তারূণ্যের অহঙ্কার আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের বাহিরে রেখেছেন। আন্দোলনের ভয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল নেতা কর্মীর বিরূদ্ধে শতশত মামলা দিচ্ছেন। অযথা গ্রেপ্তার করছেন। এরপরও কি বিএনপিকে কি দমন করতে পেরেছেন? পারেন নাই। পারবেনও না। কারণ মানুষ এখন অনেক সচেতন। প্রত্যেকের হাতে এনরয়েড সেট। সকলেই ফেসবুক, হোয়াটস আপ ও ইউটিউব চ্যানেল দেখে। প্রতি মুহুর্তের সকল খবর মানুষ পেয়ে যাচ্ছে। মানুষ বুঝে। সব জানে। রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে তা মানুষ বুঝে। আপনারা যে দূর্নীতি আর লুটপাট করছেন সকলেই বুঝে। আপনাদেরকে এই দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এখন সরকার ও আওয়ামী লীগ একদিকে আর গোটা বাংলাদেশ আরেক দিকে। আমরা জেলায় জেলায় বিভাগে বিভাগে মানবন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছি। প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে লোকে লোকারণ্য হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। দেশের মানুষ এখন আর আপনাদের সাথে নেই। তাই ভয় পাচ্ছেন। এজন্যই আমাদের নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছেন। গত শনিবার বিকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে সরাইল গরূর বাজারে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা বলেছেন ব্যারিস্টার রূমিন ফারহানা। তিনি সরকারকে সাবধান করে বলেন, গত ছয় মাসের কর্মসূচিতে আপনাদের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের ১৭ জন নেতা কর্মীকে হত্যা করেছেন। আপনাদের এত ভয় কেন? বিএনপি’র মহাসচিবকে রাত ৩টায় গ্রেপ্তার করেন। জনতার ভোটে ক্ষমতায় গেলে আমরা প্রত্যকটা ঘটনার বিচার করব। গত ১৫ বছর ধরে অবিচার করে চলেছেন। আপনারা ২১ বছর রাস্তায় ঘুরেছেন। মানুষের কাছে একটি বারের জন্য ভোট ভিক্ষা চেয়েছেন। এর এখন লুটের টাকায় চলছেন। বিদ্যুতের টাকা লুট করছেন। ব্যাংক গুলিকে খালি করছেন। আগামী ১০০ বছর মানুষ আপনাদেরকে ভোট দিবে না। ২০১৪ সালে আপনাদের জয়লাভের কোন সম্ভাবনা ছিল না। এই জন্যই সংবিধান থেকে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দিয়েছেন। তাঙ ফাঙ যাই বুঝান কোন কাজ হবে না। মানুষ সব বুঝে গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রূমিন ফারহানা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের দাবী গুলো আদায়ের বিষয়ে শতভাগ বিশ্বাসী। আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেম যাবে কোন পথে? ফয়সালা হবে রাজপথে।’ আমরা জেল খেটেছি। রক্ত দিয়েছি। মামলা খেয়েছি। পরিবারের উপর অত্যাচার হয়েছে। বাড়িঘর অফিস আদালত ভাঙচুর করেছে। আমাদের ব্যাবসা বালিজ্য শেষ হয়ে গেছে। আমাদের আর হারাবার কিছু নেই। যেখানে সভা করতে যায় সেখানেই মানুষের জোয়ার দেখি। এই জোয়ার দমন করার ক্ষমতা সরকারের নেই। তিনি বলেন, সরাইলে দল বদলাইয়া দাঁড়াইছিলেন না চুপে চুপে রাতের অন্ধকারে। লোকজন তো যায়নি ভোট দিতে। ডাইক্কাও পাননি কাউকে। কুত্তা ঘুমাইছে ভোট কেন্দ্রে। এই দলের সাথে বেঈমানি করে অতীতেও কেউ ভাল করেরি। ভবিষ্যতেও ভাল করবে না। দেশের মানুষ আপনাদের উপর ক্ষেপে গেছে। মানুষ জেগে ওঠেছে। এই মানুষ আপনাদেরকে গদি থেকে টেনে নামাবে।
সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. নুরূজ্জামান লস্করের সঞ্চালনায় ও বিএনপি’র সভাপতি মো. আনিছুল ইসলাম ঠাকুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির শেখ মোহাম্মদ শামিম, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলাল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আবু সুফিয়ান সিদ্দিকি, সদস্য সচিব মো. নুর আলম ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জামাল লস্কর প্রমূখ।