বেনাপোল রেল ষ্টেশনে কোলকাতা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান বিদেশী মদ ও বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় পণ্যসহ উপজেলা প্রসাশন ৩ জনকে জেল ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। ৯ এপ্রিল (রোববার ) সকালে বেনাপোল রেল ষ্টেশনে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ১১ লক্ষ টাকা ও বিজিবি ১০ লক্ষ টাকা এছাড়াও কাস্টমস বিপুল পরিমাণ মদ ও কসমেটিকস আটক করেছে। বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, উপকমিশনার তানভীর আহম্মেদ, জেলা ট্যাক্সফোর্সের শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলামের নের্তৃত্বে যশোর-৪৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মোজাহিদ, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূইয়া এবং রেল পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে ট্যাক্সফোর্স কর্মকর্তারা জানতে পারে ঈদকে সামনে রেখে চোরাকারবারীরা কোলকাতা- খুলনাগামী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চোরাচালানী পণ্য আসছে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে বেনাপোল রেল স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় মদ, শাড়ী,থী-পিস, বিপুল পরিমান কাপড় ও কসমেটেক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়।
যাত্রীরা জানান, সপ্তাহে রবি ও বৃহস্পতিবার কোলকাতা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনটি এখন চোরাচালানীদের দখলে চলে গেছে। এ দু‘দিন ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই চোরাচালানী পণ্য বহন করে থাকে। বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ চোরাচালানীরা। ফলে ব্যহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল সেবাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
উল্লেখ্য বিভিন্ন সময় কাস্টমস, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা অভিযান পরিচালনা করলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না চোরাকারবারিরা। একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় তারা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম জানান, রেল যাত্রীসেবা বাড়াতে ও চোরাচালানীদের প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রেলস্টেশনে বহিরাগতদের রুখতে পরবর্তীতে আরো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। ৩ জনকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। মোট ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর রহমান জানান, বেনাপোল রেল ষ্টেশনে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিদেশী মদসহ বিপুল পরিমাণ কাপড় ও কসমেটেক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। জব্দকৃত মালামাল বেনাপোল কাস্টম গোডাউনে জমা করা হয়েছে।