বগুড়ার শেরপুরে এবার রোজার শুরুতেই ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। রোজার প্রথম দিকে তেমন একটা ভিড় না থাকলেও ১৬ তম রোজা থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বাজারে, শপিংমলে। পৌর শহরের ফুটপাত থেকে অভিজাত শপিংমলে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। তবে পোশাকের দামে এবার হোঁচট খাচ্ছেন ক্রেতারা।
এরই মধ্যে ঈদের বাহারি পোশাকে ভরেছে দোকানপাট ও শপিংমলগুলো। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে গত তিন বছর ব্যবসা তেমন হয়নি। তাই এ বছর সব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান তারা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, নিত্যবাজারে যেমন দাম বেড়েছে সব পণ্যের, পোশাকের দামও বেড়েছে তেমন ভাবেই। সোমবার শেরশাহ নিউ মার্কেট, উত্তরা প্লাজা, সৈয়দা কমপ্লেক্স মার্কেট সহ বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। সবচেয়ে এখন বেশি ভিড় শেরশাহ নিউ মার্কেটে। এই মার্কেটে মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস, বোরকা, জুতা-স্যান্ডেল, অলঙ্কার, কসমেটিকস থেকে শুরু করে সবকিছুই পাওয়া যায়, ফলে নারী ক্রেতার সমাগম বেশি। এছাড়াও ছেলেদের নিত্যনতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, জিন্স, টি-শার্ট এবং থান কাপড়ের দোকান থাকায় উত্তরা প্লাজা মার্কেটে ছেলেদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো।
উত্তরা প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী ইফতেখার আলম ফরহাদ জানায়, এবার রোজার শুরুতে তেমন ব্যভসা না হলেও এখন মার্কেটে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় নির্বঘেœ কেনাকাটা করছে ক্রেতারা। আরেক ব্যবসায়ী পাশা জানান, ঈদ উপলক্ষে এখন প্রতিদিনই প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ক্রেতা বাড়ছে। কেনাকাটাও বাড়ছে। মার্কেটে আসা ক্রেতারা জানান, গত বছর করোনার প্রভাব ছিল। বাজারে ভিড় ছিল না। কিন্তু এ বছর বাজারে ভিড়ও বেশি, কাপড়-চোপড়ের দামও অনেক। গত বছর যে প্যান্ট কেনা হয়েছিল ৮০০ টাকায়, এবার ওই ধরনের প্যান্ট কিনলাম ১২০০ টাকায়। স্ত্রীর জন্য যে পোশাক গত বছরে কেনা হয়েছিল এক হাজার টাকায়, ওই একই ধরনের পোশাকের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০০-১৭০০ টাকা। বিকেলবাজার এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া খাতুন এসেছেন শাড়ি ও থ্রি-পিস কিনতে। তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় থ্রি-পিসের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।