দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে মাস্ক মিলন (বাঙ্গি) ফল। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মাস্ক মিলন (বাঙ্গি) সরবরাহ করা হবে। নতুন এই ফলের আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার দুপুরে বন্দর দিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাকে ৮ টন ৫০০ কেজি মাস্ক মিলন নিয়ে দ্বিতীয় চালানটি দেশে প্রবেশ করে। হিলির মেসার্স খান ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে এই মাস্ক মিলন (বাঙ্গি) দেশে আমদানি করেছে। কলকাতার আরএসটি ইনোভেটিভ সল্যুশন নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে মাস্ক মিলন বাঙ্গি রপ্তানি করেছে।
মেসার্স খান ট্রের্ডাসের প্রতিনিধি মাহবুব আলম বলেন,রমজান মাসে দেশে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাড়তি চাহিদা থাকে। সেই চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে মাস্ক মিলন বাঙ্গি আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে প্রতি টন মাস্ক মিলন বাঙ্গি ১৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে যা কাস্টমসে প্রতি টন ৬০০ মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে ছাড় করণ করছে। এতে কেজি প্রতি বাঙ্গি ফলের শুল্ক বাবদ ৬০ টাকার মতো পরিশোধ করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, মাস্ক মিলন বাঙ্গি ফল আমদানির ফলে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন যে আয় সেটি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু এটি একটি কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের পরীক্ষণ শুল্কায়ন শেষে দ্রুত যেন বন্দর থেকে খালাস করে দেশের বাজার ধরতে পারে সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বৃহস্পতিবার ও সোমবার এই দুই দিনে মোট ১৫ টন ৩০০ কেজি মাস্ক মিলন বাঙ্গি আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।