খুলনার পাইকগাছায় অল্প বয়সীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় টিকটক ও লাইকির মতো ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপগুলো। ভিউ বাড়াতে বিকৃত ভাষা, বিকৃত অঙ্গভঙ্গি ও নির্যাতনের দৃশ্য অ্যাপগুলোতে হরহামেশাই দেখা যায়। ফলে আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে অশ্লীলতা, সামাজিক সহিংসতা। বাড়ছে ধর্ষণ, নারী পাচার ও পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভিডিও দেখে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছে যুব সমাজ। শিশুরা ঝুঁকছে অপরাধে। তথ্যমতে, ইদানীং উপজেলা সদর, বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি সহ গ্রামাঞ্চলে এসব ঘিরে কিশোর কিশোরী ও যুবক যুবতীদের মধ্যে এমনকি প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষদের মধ্যে পরস্পর ভুল বুঝাবুঝি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে পক্ষদের মধ্যে গোলমাল গোলযোগ, মামলা মোকদ্দমা সহ পারিবারিক বিবাহ বিচ্ছেদ সহ সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ বাড়ছে। এ ছাড়া টিকটক স্টার বানানোর লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে অত্যন্ত অর্ধশত তরুণীকে ভারতে পাচারের ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তাই নয়, টিকটক তরুণদের কাছে এতটাই জনপ্রিয় যে স্কুল ফাঁকি দিয়ে খোলা রাস্তায় ভিডিও ধারণের দৃশ্য এখন প্রতিদিনের। হালের কোনো গান, বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি, অঙ্গভঙ্গির পাশাপাশি দর্শক প্রিয়তার লোভে শিশুদের দিয়েও বানানো হচ্ছে ভিডিও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকটক ও লাইকির প্রভাবে শিশুদের যোগাযোগ। ভিউ বাড়ানোর নেশায় খেলাধুলার সঙ্গে কমছে সামাজিক যোগাযোগ। ভিউ বাড়ানোর নেশায় নারীদেরও হেয় করতে পিছপা হচ্ছে না তারা। সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ভিডিও তৈরি করে তারা অর্থ উপার্জন করছে। কিন্তু বিষয়টি হলো রাষ্ট্র এই উপার্জনকে সমর্থন করে কিনা। যদি না করে তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সরকারি ভাবে তেমনটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। টিকটক ও লাইকির কুপ্রভাব থেকে শিশু কিশোরদের সুরক্ষার জন্য ভারত ও নেপালে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও একই রকম ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের। মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার বলছেন, অনলাইনে সবসময় আমাদের নজরদারি রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ যাতে এ ধরনের ভিডিও বানাতে না পারে এবং অপরাধে জড়াতে না পারে সেদিকে পুলিশ নজর বাড়িয়েছে।