পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ- কলেজ এ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে মো.শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি (যার ইনডেক্স নং ৭৬২৫৬৫) দুই যুগের ও বেশী সময় ধরে নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী করার লিখিত অভিযোগ করেছেন তারই সৎ ভাই মো. আলমগির হোসেন তহশিলদার।
এ ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. শাহেদ শাহান সোমবার সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করেছেন।
তারই সৎ ছোট ভাই সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মো. আলমগির হোসেন তহশিলদার এর লিখিত অভিযোগে জানান, ওই শাহজাহান আদৌ লেখা পড়া না করে জন্ম তারিখ ০১.০১.১৯৭০ উল্লেখ করে ১৯৮৫ সালে ৮ম শ্রণীতে পাশ দেখিয়ে সিংহখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯.১২.১৯৯৬ তারিখে চাকুরী গ্রহণ করে অদ্যাবধী কর্মরত আছেন। তার প্রকৃত জন্ম তারিখ হচ্ছে ১৯৫০ সালে। তারই ৭ বছরের ছোট, অভিযোগকারী সৎ ছোট ভাই মো. আলমগীর হোসেন ২০.১২.১৯৫৭ সনে চাকুরী গ্রহণ করে ১৯.১২. ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এ ছাড়া একই বাড়ীর চাচাতো ভাই সরকারি চাকুরী জীবি রুহুল আমিন বিন হাসিম (গ্রুপ ক্যপ্টেন), আল আমিন বিন হাসিম (খোকন), নুরুল আমিন বিন হাসিম (ফারুক) ইতঃপূর্বে অবসর গ্রহণ করেছেন। এরা সকলেই তার বয়েসে ছোট। অথচ নৈশ প্রহরী মো. শাহজাহান এর এখনও প্রায় ৭ বছর চাকুরীর মেয়াদ রয়েছে। তার পরিচয় পত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাইসহ ডাক্তারি পরীক্ষায় (ডিএনএ টেস্টে) প্রকৃত জন্ম তারিখ বের হয়ে আসার কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি রুহুল আমিন বিন হাসিম জানান, এ ঘটনায় তদন্তের জন্য মাউশি থেকে একজন সহকারী পরিচালক সোমবার তদন্তে আসছিলেন। নৈশ প্রহরীর নিয়োগ সংক্রান্ত সকল ডকুমেন্ট তার কাছে দেয়া হয়েছে। তিনি আর ও জানান তার ৮ম শ্রেণীর সনদের সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে মিল আছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল আলম বলেন, অধিদপ্তর থেকে তদন্তে আসছে শুনেছি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক মো. শাহেদ শাহান বলেন, নৈশ প্রহরী মো.শাহজাহান এর জাতীয় পরিচয় পত্রসহ সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এসব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিক রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
অভিযুক্ত মো. শাহজাহান জানান, জমি নিয়ে আমার সৎ ভাইয়ের সাথে বিরোধের কারণে আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে।