হঠাৎ করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বোরো ধানে মাজরা ও ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ধানসহ শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছের শীষ। ধান কাটার ঠিক আগমুহুর্তে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ১৩৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে । এসব জমিতে কৃষকরা উচ্চফলনশীল ব্রি-৩৬, ব্রি-২৯,ব্রি-৮৯,ব্রি-৯২,ব্রি-৮৮ ও ব্রি- ২৮ জাতের ধান আবাদ করেছেন । মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে । তবে সম্প্রতি ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে । কৃষি অফিসের তথ্যমতে উপজেলায় প্রায় ৪ একর জমিতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে । এর মধ্যে ব্রি-২৮ ধানে বেশি এ রোগ দেখা দিয়েছে । আর কৃষকরা বলছেন,অধিকাংশ জমিতেই এ রোগ হচ্ছে । উপজেলার ধলহরাচন্দ্র,চরধলহরা,ধাওড়া,শিতালী,দলিলপুর,হাটফাজিলপুর সহ বেশ কয়েকটি মাঠে ঘুরে ধানের ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে । কৃষকরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ করে উপজেলার বেশ কিছু এলাকার ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয় ।
উপজেলার ধলহরাচন্দ্র গ্রামের চাষী জিয়া মোল্লা বলেন, বোরো আবাদের শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় এবার তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তাই সবাই ভালো ফলন আশা করেছিল। কিন্তু ধান পাকার আগ মুহুর্তে হঠাৎ করে জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়েও কোনো কাজ হচ্ছেনা। এতে ফলন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। ছোটধলহরা গ্রামের চাষী সাইফুল ইসলাম বলেন, বোরো ক্ষেতে হঠাৎ করে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এতে করে ধানগাছ সহ শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান খান বলেন, এই রোগ হলে ধান গাছের পাতা কালো ও শীষ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষেতে এই রোগ দেখা দিলে তার পাশের ক্ষেতে কীটনাশক না দিলে ব্লাস্ট রোগ ওইসব ক্ষেতেও দেখা দিতে পারে। এ রোগ বাতাসে ছড়ায়। ধানের এ রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করা হচ্ছে।