মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে এক কৃষক নিজ জমির আংশিক কেটে পুকুরের পার তৈরি করছেন। এর আগে তিনি পুকুর পাড় তৈরির জন্য আবেদন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদে। তারপরও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র তার কাছে বাধা দেয়। বাধা না মানায় চক্রটি গভীর রাতে ওই কৃষক ও তার ভাইদেরকে মারধর করে বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় কুকুটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম মুন্সীয়া গ্রামের কৃষক টুটুল খান বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার টুটুল খান তার বাড়ির ৫শ গজ দূরে নিজস্ব জমিতে মাছ চাষের জন্য এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কেটে পুকুর পাড় তৈরি করছিলেন। এজন্য তিনি কুকটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদনও করেন। গত মঙ্গলবার কাজ করার সময় মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক নেতা যুবরাজ খান কাজলের ভাই সান্টু ও কমল খান সহ বেশ কয়েকজন মিলে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে পাড় বাধতে বাধা দেয়। এর কারণ জানতে চাইলে তারা কারণ না বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। টুটুল খান জানায়, তাদের বাধা না মেনে পাড় বাধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জের ধরে মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে সান্টু,কমল খান,বাবু ও শামীম সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন মিলে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহ আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তাকে সহ তার দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও ইমরান খানকে বেদম মারধর করে। এ সময় তারা বাড়ি ঘরে হামলা করে ভাংচুর করে ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় টুটুল খানদের অনুপুস্থিতিতে তাদের বাড়িতে এসে বাড়ির নারীদেরকে হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে কমল খান বলেন, টুটুল খানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ মিথ্যা। তারাই উল্টো শামীম খানের মাথা ফাটিয়েছে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।