রংপুরের মিঠাপুকুরের চাঞ্ছল্যকর গৃহবধূ শিমু বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় স্বামী দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। ওই গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার দুলাল মিয়া (২৪) মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর রশনিপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তাকে শুক্রবার ( ১৪ এপ্রিল) রাতে জামালপুরের বকশিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বছর দেড়েক আগে মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর রশনিপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার (২৫) সাথে বিয়ে হয় শিমু বেগমের (২০)। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল, ঘরের আসবাবপত্র এবং নগদ ২ লাখ টাকাও দেন শিমুর পরিবার।
এরপরেও শিমুর স্বামী আরও ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে আসছিল। শিমুর পরিবার তা দিতে না পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরইমধ্যে গত ৭ মার্চ শিমু বেগমকে তার স্বামী দুলাল মিয়া, শ্বশুড় বাবলু মিয়া এবং শ্বাশুড়ী দুলালী বেগম মিলে মারধরের একপর্যায়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিমুর মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে দুলালের পরিবারের লোকজন।
র্যাব-১৩ কর্মকর্তা বশির আরও জানান, এ ঘটনায় শিমুর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন। বিষয়টি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে স্বামী দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্যের গ্রেপ্তারে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে দুলাল। তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।