বাগেরহাটের শরণখোলায় ক্ষতিকারক মুক্ত তেলবীজ ফসল সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। গত বছর যে পরিমাণ জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে তার চেয়ে চার গুন বেশি জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। ফলন হয়েছে বাম্পার। চাষীদের চোখে মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। অল্প পরিশ্রম আর কম খরচে উৎপাদিত মানব দেহের জন্য উপকারী স্বাস্থ্যসম্মত তেলবীজ সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ উপজেলার কৃষকদের। তারা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুল ইসলাম মনি ও মোঃ আবুল হাসান জানায়, গত বছর অল্প জমিতে সূর্যমুখী চাষ হলেও চলতি বছরে হাইসান- ৩৩ জাতের সহস্রাধিক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। জন প্রতিনিধিদের নিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ২২ জন চাষীকে প্রদর্শনী এবং সরকারি প্রনোদোনার আওতায় এক হাজার ২২০ জন চাষীকে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের চাষী মাসুম জমাদ্দার ও রঞ্জন মৃধা এ প্রতিনিধিকে বলেন তাদের সূর্যমুখী ফলন গত বছরের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। তাদের নিজেদের বছরের তেলের চাহিদা মিটিয়ে বাকি সূর্যমুখী বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এ ছাড়া সূর্যমূখির কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আগামী বছর আরো বেশি জমিতে চাষ করার ইচ্ছে আছে বলে জানায়। ওই এলাকায় আরো যারা চাষ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মিলন দারিয়া, পুলিন বিহারী, নুরুল ইসলাম, সুকরঞ্জন হালদার সহ আরো অনেকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন সূর্যমুখী বীজে ৪০ থেকে ৪৫ নিলোনিক অ্যাসিড রয়েছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া তেলের ক্ষতিকারক ইরোসিক অ্যাসিড নেই। যে কারণে কোল্ডস্টোরেজ মুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত তেলবীজ সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করায় গত বছরের তুলনায় এ বছর চারগুণ বেশি জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছে। ফলন হয়েছে বাম্পার। প্রতি হেক্টরে জমিতে উৎপাদিত ফলন হয়েছে ৩ মেট্রিক টন। শরণখোলায় সূর্যমুখী তেল শোধন করার মেশিন না থাকায় আমরা বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করছি যাতে তাদের মাধ্যমে চাষীরা তেল শোধন ও বিক্রয় করার সুযোগ পায়।