কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হিসনা নদী সম্প্রতি খনন করা হয়। খননের পর সেই মাটি দিয়ে পাড় বাঁধা হয়। সেই পাড়ের মাটি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, নদীর উভয় পাড় মাটি দিয়ে বেঁধে দেবার পর এই মাটি আবার দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। হিসনা খননে কৃষকদের উপকার হয়েছে। হিসনার পাড় আমরা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এক বছর পর হঠাৎ এসে এই মাটি কাটা হলে নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং নদী পাড়ের কৃষিকাজ ব্যাহত হবে।এদিকে এই মাটি স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝেই অশান্ত হয়ে উঠছে হিসনার দু’পাড়। আদালত এবং থানা পুলিশে গড়িয়েছে সেই সব ঘটনা। দৌলতপুর থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, এ-সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তবে, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জমান মুকুল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যেহেতু মাটি বিক্রির প্রয়োজন মনে করছে সেহেতু আমাদের জায়গা থেকে কিছু করার নেই। তবে, জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি আমলে নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেও করতে পারে।কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর অনেকে মাটি স্থানান্তর চাই বলে জানিয়েছে। এজন্য কিছুকিছু জায়গার মাটি বিক্রি করা হয়েছে। তবে, মাটি নদীর পাড়ে থাকলেও নদী বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো সমস্যা নাই। এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য নদী খনন করা হয়েছে। যদি এলাকাবাসীর অসুবিধা হয় তাহলে মাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবো।