খুলনার পাইকগাছায় প্রচন্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। শিশুদের নিরাপদ রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলার ঋতু বৈচিত্র্যে এখন গ্রীষ্ম মৌসুম। টানা দু’সপ্তাহ তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিকে পবিত্র মাহে রমজান, অপরদিকে এলাকার সর্বোত্রই বইছে মৌসুমের সেরা তাপমাত্রা। প্রচন্ড এই তাপের মধ্যে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নি¤œ ও শ্রমজীবী মানুষ। অপরদিকে শ^াসকষ্ট সহ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। এক শিশুর মা স্বপ্না বেগম জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে আমার এক বছরের শিশু সন্তান শ্বাসকষ্ট সহ নানা ধরণের সমস্যা আক্রান্ত হয়েছে। এলাকার প্রায় সব বাচ্চারা এ ধরণের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ কওসার আলী গাজী জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশুরা স্বর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, অলিগিউরিয়া (প্রসাব কম), শরীরে হ্রাস ওঠা, ডায়রিয়া, প্রচন্ড জ¦র, ক্ষুধামন্দা, চোখ ওঠা, দুর্বলতা ও হিট স্ট্রোকের মতো নানা ধরণের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এধরণের সমস্যা থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে শিশু বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘরের যে স্থানে গরম বেশি সেখানে শিশুদের রাখা যাবে না, তাদেরকে আলো বাতাস যুক্ত শিতল জায়গায় রাখতে হবে। ডাবের পানি, স্যালাইন পানি, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শরবত সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। রৌদ্রের মধ্যে বাইরে যাওয়া যাবে না, শরীরে ঘাম যাতে না বসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, পচা-বাসি ও খোলা খাবার খাওয়ানো যাবে না, শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে গোসলের সময় পানি খেয়ে ফেলে এজন্য বিশুদ্ধ পানিতে তাদেরকে গোসল করাতে হবে।