ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ভূমি অফিসের সামনে থেকে হাকিমপুর অভিমুখে মামদপুর গ্রামের শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পাকা পিচ রাস্তার কাজ চলমান। জিওপিএম প্রোজেক্টের অধীনে মেন্টেনেটস এর ২ কোটি ৭৯ লাখ ২৩ হাজার ২২৮ টাকা নির্মাণ ব্যায়ে এই রাস্তাটির কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। এই রাস্তাটির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট,ধুলাযুক্ত বালি ও ইটভাটার কাদামাটিযুক্ত ঘেঁষ। নিম্নমানের এসব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শিডিউলে উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের ক্ষেত্রে তা মানছে না। ইটভাটার নষ্ট হওয়া কাদাবালি যুক্ত পোড়ামাটি আর ঘেঁস এর ব্যাপক ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তাটি, রাস্তা নির্মাণের সিডিউলে যার কোনো অনুমোদন নেই। ইটের ক্ষেত্রে অনেক স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩ং ইট আর পোড়ামাটির দলা। রাস্তা নির্মাণে এরূপ অনিয়ম করে দিনের পর দিন নিম্নমানের কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করে চললেও কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব ভুমিকায় সরোজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রি দিয়ে কাজ করছেন। সে সময় উপজেলা এলজিইডি অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউকেই রাস্তায় দেখা যায়নি। বানুড়িয়া গ্রামের ওয়াদুদ মিয়া সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাস্তা যদি পোড়া মাটি আর ধুলাযুক্ত বালি দিয়ে তৈরি করে তাহলে সেই রাস্তা কেমন টেকসই হতে পারে আপনারাই বলেন। আসলে রাস্তা নির্মানের নামে লুটপাট করা হচ্ছে। এলাকার অনেকেই প্রতিবাদ করেছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। মামদপুর গ্রামের দুদু মিয়া বলেন,পিস রাস্তার কাজে ঘেঁস দেয় শুনেছেন ? যারা রাস্তার কাজ করছে এরা শুধু নিজেদের লাভের কথাই চিন্তা করছে। আর অফিসের লোক ওদের সঙ্গে যুক্ত আছে। তারা এসব অনিয়ম দেখেও কিছু বলেন না। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শামছুজ্জোহা মল্লিকের পক্ষে কাজী মাহবুবুর রহমান রুলু বলেন,নির্মাণ কাজে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যাবহারের কথা শিকার করে বলেন,কাজটি আমি কিনে করছি।আপনার সাথে দেখা হয়ে কথা বলতে পারলে ভালো হতো। কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, রাস্তা নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সিডিউলের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। নির্মাণ কাজে অনিয়ম হলে অবশ্যই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঝিনাইদহ জেলা এলজিইডি'র নির্বাহী প্রক্যেশলী মোঃ মনোয়ার উদ্দিন জানান, আমি এখনই খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখছি। অনিয়মের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবো।