খুলনার পাইকগাছায় প্রচন্ড তাপদাহের সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। রোজাদার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। চৈত্রের শেষে প্রচন্ডভাবে বেড়ে গেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে গত কয়েকদিন ধরে পাইকগাছায় ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। এর মধ্যে প্রতিদিন শুরু হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। বিশেষ করে সেহেরি, মাগরিব ও তারাবি নামাজের সময় লোডশেডিংএ কঠিন ভোগান্তিতে পড়েছে রোজাদাররা। রাতেও কয়েক পর্বে দিচ্ছে লোডশেডিং। এরপর প্রকৃতি হাওয়া একপ্রকার নিরব। তাপদহে সব কিছু স্থবির, চারিদিকে শুধু শুষ্ক হা-হা বিরাজ করছে। উপজেলার অধিকাংশ লোক চিংড়ি চাষের উপর নির্ভরশীল। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পানি কমে গেছে। আর তাপদাহে উত্তাপ্ত পানিতে বাগদা চিংড়িতে মড়ক লাগছে বলে চিংড়ি চাষী সমিতির সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন। পানির অভাবে মরে যাছে ফসলের ক্ষেত। চাষী আবদুল আজিজ গাজী জানান, সেচের পানিতেও কাজ হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, যেভাবে তাপমাত্রা দেখা দিয়েছে তাতে বৃষ্টিপাত না হলে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে গেছে। পাইকগাছা ইমাম পরিষদের নেতা মাও. আবদুল কাদির বলেন, বিদ্যুত বিভাগের লোকেরা এমন সময় লোডশেডিং দেয় যে সময় মুসলমানেরা নামাজরত। নামাজিদের কষ্ট হয়। সব মিলিয়ে তাপদহে মাটি ও মানুষের সীমাহিন কষ্ট হচ্ছে। আর তাতে যুক্ত হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে লোডশেডিং।