ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য লীজা আক্তার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে জলমহল খাত থেকে প্রাপ্ত আড়াই লাখ টাকার একটি কাঁচা রাস্তা নির্মান প্রকল্প বরাদ্দ পাওয়ার পর মাত্র ৪০ হাজার টাকা খরচ করে সমুদয় অর্থ লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ৩ নং চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের উত্তর পাশে আলমনগর গ্রামের ফসলী মাঠের মধ্যে কালভার্ট পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকের আজাহার মোল্যার বাড়ীর পর্যন্ত মাত্র আড়াইশো মিটার কাঁচা রাস্তা নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যেয়ে ওই নারী সদস্য বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সোমবার সরেজমিনে সদ্য নির্মানাধীন কাঁচা রাস্তাটি ঘুরে জানা যায়, উপজেলা সদরের আলমনগর গ্রামের ফসলী মাঠের মধ্যে দিয়ে কাঁচা রাস্তাটি নির্মানের ফলে গ্রামবাসীর যাতায়াতের পথ সুগোম হওয়ার কথা। কেননা, ওই গ্রামের ফসলী মাঠ জুড়ে রয়েছে উপজেলা পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো নতুনভাবে বসবাস শুরু করেছে। তাই সদ্য নির্মানাধীন কাঁচা রাস্তাটি নতুন বসতিদের যাতায়াতের জন্য বেশী জরুরী।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানায়, ২০২২-২০২৩ উপজেলার জলমহল প্রকল্প থেকে বরাদ্দকৃত সদ্য নির্মানাধীন কাঁচা রাস্তাটি অত্যান্ত নিচু ও নি¤œমান করে গড়া হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ঢলের পানির চাপে রাস্তাটির অস্তিত্ব টিকে থাকা জনমনে প্রশ্ন তুলছে। সোমবার রাস্তা ঘেষে বসতি মোঃ আজাহার মোল্যা জানায়, “আমাদের রাস্তা নির্মানের জন্য প্রায় আড়াই লাখ টাকার প্রকল্প নিয়ে নারী সদস্য লীজা আক্তার একটি বেকু মেশিন ভাড়া করে এনে রাস্তার পাশের খাস জমি থেকে মাত্র দু’দিন মাটি কেটে সর্বোচ্চ দুই ফিট উঁচু করে মাটি ফেলে যায়। পরবর্তিতে এলাকবাসী রাস্তার মাটিগুলো লেভেল করার জন্য আকুতী জানালে নারী সদস্য একদিন ৩/৪টি লেবার দিয়ে মাটির ডিবিগুলো সমান করে রেখে প্রকল্পর সমস্ত টাকা লুটে নিয়েছেন। এতে আড়াই লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে নারী সদস্য সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ব্যায় করেছেন বলে এলাকাবাসী জানায় ”।
এ ব্যাপারে নারী সদস্য লীজা আক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি ফেয়ার নিউজকে বলেন, (রেকর্ড সংরক্ষিত),“মূলতঃ আমার নামে বরাদ্দকৃত প্রকল্প অর্থের মধ্যে থেকে চেয়ারম্যান তার কমিশন ৬০ হাজার টাকা, অফিস কমিশন ১০% ও ভ্যাট আইটি ৩৪ হাজার টাকা কর্তন করার পর বাকী টাকার মধ্যে থেকে রাস্তা নির্মান খরচের পর আমার লাভের টাকাগুলো নগদে দিয়েছেন। উল্লিখিত রাস্তাটি নির্মানকালে ৩/৪টি লেবার নয় বরং ১০টি লেবার খাটানো হয়েছে বলেও তিনি জানান”।
আর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান বলেন, “এ বছর জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যে অসঙ্গতভাবে একটি গেফ সৃষ্টি হওয়ার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। আগামীতে ইউনিয়নে এ ধরনের অনিয়শ আর হবে না বলে তিনি জানান”। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (বদলি হয়েছেন) পদ শূন্য থাকায় বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হলো না।