কালীগঞ্জে প্রচন্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। ইফতার, তারাবিহ ও সেহরির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় সেচযন্ত্র ঠিকমতো চলছে না। এতে ফসলি জমিতে সেচকাজও ব্যাহত হচ্ছে। আবার খাবার পানি ও সংকট দেখা দিয়েছে। বাসা বাড়ির টিউওয়েল গুলোতে পানি উঠা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলানায় বিদ্যুৎ কম সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য দিনে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। এদিকে, কালীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি এলাকাতেই এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
রমজানের শুরু থেকে কিছুটা লোডশেডিং থাকলেও এখন তা তীব্র আকার ধারণ করেছে। দিন-রাত মিলে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ইফতার, তারাবিহ ও সেহরির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে রাতের খাবার খাওয়াসহ অন্য কাজ করতে হচ্ছে। দিনের বেলায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতে যতটা ভোগান্তি হয় রাতে তা কয়েকগুণ বাড়ে। রোববার রাতেও ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েক বার ঘুম থেকে উঠে বাইরে যেতে ঘুরে বেড়ায়। অনেকে লোডশেডিংয়ে শিশুরা বেশি সমস্যায় আছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে তারা ঘুম থেকে উঠে গরমে কান্নাকাটি করে থাকে। শহরের ব্যবসায়ী নিশিদ ঘোষ বলেন, দিনে রাতে যে কতবার বিদ্যুৎ গেছে তার কোনো হিসাব নেই। রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে ঘুম হয় না। সারারাত জেগে থেকে সারাদিন কি কাজ করা যায়? ফয়লা গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, বারবার বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। গ্রহকদের সমস্যা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বিষয়ই না। নিজেদের মতো করে বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়া করাই তাদের কাজ। অফিসে কল দিলেও কোনো কাজ হয় না। কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ঘরের টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে ইলেকট্রনিক্স জিনিস অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কালীগঞ্জ ওয়েস্ট জোন পাওয়রি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলায় পিডিবির বিদ্যুতের চাহিদা ৯ মেগাওয়াট কিন্তু আমরা পাচ্ছি সাড়ে ৫ মেগাওয়াট। এ ছাড়া কালীগঞ্জে ৪ টি ফিডার রয়েছে চাহিদার কম বিদ্যুত পাওয়ার কারণে প্রতিটি ফিডারে ভাগ ভাগ করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। তিনি আর ও বলেন ব্রাম্মনবাড়িয়া, চট্রগ্রাম ও রামপালে ৩টি বিদ্যুত সম্পচ্রার কেন্দ্র যান্ত্রিক সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। যে কারণে এ সময় বিদ্যুতের এ সমস্যার হচ্ছে।