পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচলের কথা থাকলেও বাইকারদের ভীড়ের কারণে নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগেই সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে পদ্মা বহুমুখী সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়েছে।
পদ্মা সেতুর বাম পাশের সার্ভিস লেন দিয়ে চলছে মোটরসাইকেল। বুধবার মাঝ রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক মোটরসাইকেল চালক-আরোহী। অনেকে আবার সেহেরি খেয়ে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে এসেছেন। মাওয়া টোলপ্লাজার সামনে অপেক্ষমাণ প্রথম মোটরসাইকেল পার হওয়া মো. সোহাগ হোসেন জানান, তিনি বুধবার রাত নয়টায় চট্টগ্রাম থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে মাওয়া টোলপ্লাজায় রাত দুইটায় এসে পৌঁছেছেন। আরেক জন মোটরসাইকেল চালক আবদুল করিম এসেছেন গাজীপুর থেকে। সোহাগ ও করিমের মতো প্রায় সব চালক-আরোহী চান বাইকাররা যেন যথাযথ নিয়ম মেনে গাড়ি চালান। কিছু উচ্ছৃংখল বাইকারদের জন্য যেন পদ্মা সেতুতে আবারও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে না যায়।
তবে ছয়টি শর্ত মেনে মোটরসাইকেল চালকদের পদ্মা সেতু পার হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেল গুলো যেন টোল প্লাজা অতিক্রম করতে পারে এজন্য সেতু কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে সবাইকে হাতে ১০০ টাকার নোট হাতে রাখতে বলছেন।
সকাল ৬টার আগে সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্ললাজার আগে পদ্মা সেতু উত্তর থানার পূর্ব পাশ দিয়ে কয়েকশ মোটরসাইকেল আরোহী লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজ্জব আলী জানান, সর্বশেষ আড়াই ঘণ্টায় প্রায় তিন হাজার মোটরসাইকেল আরোহী মাওয়া টোলপ্লাজা অতিক্রম করে। তবে এবারের সব মোটরসাইকেল আরোহী প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন। তারা গত বছর ২৬ জুন সেতু খোলার প্রথম দিন পার হতে পারেননি। পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হলে একটি দূর্ঘটনায় দুই জন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার পর এই সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য নিষেধ করা হয়। তার পর প্রায় সাড়ে নয় মাস পর ২০ এপ্রিল ২০২৩ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কিছু শর্ত আরোপ করে মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।