নওগাঁর সাপাহার উপজেলার পশ্চিম বিরামপুর গ্রামে বাগানে ছাগল প্রবেশ গাছ খাওয়ার ঘটনায় আপন বড় ভাই আশকর আলী (৩২) কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করলেন আপন ছোট ভাই মৌলভী ফারুক। এ বিষয়ে সাপাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আহত আশকর আলীর স্ত্রী রেবিনা খাতুন।
থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ পত্র ও সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে জানাগেছে,গত ১৭ এপ্রিল ২০২৩ আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে আশকর আলির ছাগলের বাচ্চা তার ছোট ভাই মৌলভী ওমর ফারুকের বাগানে প্রবেশ করলে ওমর ফারুক ছাগলের বাচ্ছাগুলোকে ধরে টেনেহিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে আসে।এঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে চরম বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এ সময় ফারুক ও তার সহযোগিগণ হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, ইত্যাদি সহ মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বড় ভাই আশকর আলীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা ধারালো হাসুয়া দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে স্বজরে কোপ মারে এতে বড় ভাই আশকর আলির মাথার বাম পাশে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। ঘটনার সময় তারা বড় ভাই আশকর আলির স্ত্রী ও অপর ভাই আওয়াল কে এলোপাতাড়ী ভাবে তারা মেরে জখম করে। এ সময় আহত ব্যক্তিদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত মৌলভী ওমর ফারুক(৩৬), পিতা-মৃত আলতাজ আলী, মোঃ মামুন (২৮), পিতা-মোঃ সাত্তার আলী,মোঃ সাত্তার আলী(৫৫), পিতা-মৃত তরুজুল আলী,মোছাঃ আয়শা খাতুন (২৪), স্বামী-মোঃ ওমর ফারুক, মোছাঃ আক্তারা (৪০), পিতা- মৃত আলহা আলী, সর্ব সাং-পশ্চিম বিরামপুর, সাপাহার-নওগার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবিরের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।