ঈদ উদযাপন করতে এক শ্রেনির কিশোরেরা ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, ইজিবাইক, আলম সাধু, নসিমন করিমনে সাউন্ড বক্স নিয়ে উচ্চ মাত্রার গতি সম্পন্ন বিট মিউজিক বাজিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কে।
কালীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ঈদুল ফিতরের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে ডিজে ব্যান্ড বাজিয়ে কিশোরদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচে দেখা যায়নি। এটা শুধু এবার ঈদের দিনই নয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ঈদ, পুজা ও বন ভোজনে যায় এভাবে বিট মিউজিক বাজিয়ে। উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা বাজানোর তালে উদ্দাম নৃত্য লাফঝাঁপ আর চিৎকার-চেঁচামেচি চলতে থাকে চলন্ত গাড়িতে। কিশোর ও সদ্য কৈশোর পেরোনো এ তরুণদের এমন ঈদ বিনোদনকে 'অসুস্থ বিনোদন' বলে উল্লেখ করছে সচেতন মহল। ঈদ বিনোদনের নামে চলন্ত এসব বৈধ অবৈধ যানবহনে নাচানাচির ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা- সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহন চালকেরা পড়েছে মহা ভোগান্তিতে। এভাবে ঘুরে বেড়ানো বন্ধের দাবি জানান সর্বসাধারণ। গত কয়েক বছর ধরেই দেখা গেছে ঈদের দিন থেকে শুরু করে সপ্তাহ খানেক ধরে এক শ্রেনির কিশোর, তরুণেরা উল্লাস করে বেড়ায়। ট্রাকে জেনারেটর নিয়ে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে নাচানাচি করে। চলন্ত গাড়িতে লাফালাফি করে তারা, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আবার দূর্গা পুজার সময় ও এমন টা দেখা যায়।
ঈদের দিন নামাজের পর থেকে রাত পর্যন্ত উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা বাজিয়ে এসব যানবাহন নিয়ে সড়কে দাপিয়ে বেড়ায় কিশোররা। রাস্তা ঘাটে মেয়েদের দেখলে বাজে মন্তব্য ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। এসবের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এদের অসভ্যতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে করে যে কোনো সময় দুর্ঘটনায় প্রানহানি ঘটতে পারে। তাছাড়া এমন অসভ্য নাচানাচির সঙ্গে মাদক সেবন করতেও দেখা গেছে অনেককে। এভাবে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন সুধীমহল। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।