লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের আবাসিক স্টাফ কোয়ার্টার থেকে মমতাজ বেগম (৪৭) নামে এক নারীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের ছোট মেয়ে রুজি আক্তার। তবে ২৪ ঘন্টা পরও হত্যার মূলরহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসবাদের জন্য নিহতের বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি আটক করেছে পুলিশ। আর ঘটনার পর থেকেই নিহতের ছোট ছেলে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র সাইফুল ইসলাম রকি লাপাত্তা রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ওই নারীর কয়েক খণ্ডিত মৃতদেহ (বিবস্ত্র অবস্থায় ) উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ।
পুলিশ জানায়,নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগ গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। মারা যাওয়ার পর থেকেই তার দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করছিলেন তিনি। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বর্তমানে বড় ছেলে বাপ্পি সড়ক বিভাগে মাস্টার রুলে কাজ করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত ওই নারীর স্বামী আবদুল মতিন এক সময়ে সড়ক বিভাগে রোলার চালক হিসেবে চাকরি করতেন। ২০০৫ সালে নিহত মমতাজ বেগম (৪৭) স্বামী আবদুল মতিন মারা যান। এরপর থেকে মমতাজ বেগম স্টাফ কোয়ার্টারে দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পী মাস্টার রুলে সড়ক ও জনপথ বিভাগে কাজ করে আসছেন।
রাতে তার বড় ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি বাসায় ফিরে দেখেন- তার মায়ের কয়েক খ- লাশ পড়ে আছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। রাত দুইটার দিকে পুলিশ এসে নিহত মমতাজ বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওই নারীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ কয়েক খ- করে দুর্বৃত্তরা। জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান স্থানীয়রা।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে ভিতরে এক নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় কয়েক খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতিও চলছে। পারিবারিক বিষয় বা অন্য কোন কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।