মহাসড়ক এবং গ্রামীণ জনপদের চলাচলের কোন বৈধতা না থাকলেও উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শতশত অবৈধ ট্যাফে ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টর। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এসব গাড়ীর চালকদের বেশিরভাগই শিশু কিশোর। অদক্ষ এই চালকদের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। অপুরনীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে মানুষের জানমালের। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কাঁচা পাকা সড়কের দু’পাশেই গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক ইট ভাটা। দিন-রাত এসব ইট ভাটায় মাটি আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শতশত ট্যাফে ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টর। বিদেশ থেকে কৃষি কাঝেঞর উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত এসব ট্রাক্টরের কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। রাস্তায় চলাচলে বৈধতা না থাকলেও সব ধরনের সড়কেই এসবের রয়েছে অবাধ বিচরণ। যে কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। ইতঃপূর্বে উপজেলার কয়েকটি সড়কে মানুষ এবং গৃহপালিত পশুর প্রাণহানি ঘটেছে। সরেজমিন দেখা যায়,এসব গাড়ির বেশিরভাগ চালকের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর। যাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চালক ও গাড়ির মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা দামের গাড়ি সড়কে চলাচলের কোন অনুমতি নেই। রুট পারমিট না থাকায় কিছুকিছু স্থানে সারা বছর চাঁদা দিয়েই তাদের চলতে হয়। রিক্সাভ্যান চালক আবদুর রহিম বলেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শত-শত মাহিন্দ্র গাড়ি ইট ভাটায় মাটি বালু এবং ইট নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। এগুলোর গতি দেখে পথচারী এবং রিক্সাভ্যান চালকরা তটস্থ থাকে। কখন যেন কার সাথে ধাক্কা খায়। এরা ছোট্ট বড়ো রাস্তা মানেনা। দ্রুতগদিতে দাপিয়ে বেড়ায়। মোটরসাইকেল চালক আবদুল কুদ্দস জানান, সড়কে চলতে গেলে নানা জায়গায় পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়। অথচ অবৈধ এসব ট্রাক্টর সড়ক দাপিয়ে বেড়ালেও পুলিশ কার্যত কোন ভূমিকাই রাখছে না। এসব গাড়ির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত দু বছরে মাগিন্দ্রের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রান হারিয়েছে ২০ জনের বেশি মানুষ। তাই এসব অবৈধ গাড়ির চলাচল বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পীরগঞ্জ থানার অফিস ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন এসব অবৈধ ট্যাফে ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।