রংপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সোনা মিয়া (৫৫) নামে এক কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে খানসামা ইমামগঞ্জ বাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে সোনা মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার মোজাম্মেল হক মোজা (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মোঃ কামরুজ্জামান। এদিকে মঙ্গলবার বাদ আসর জানাজা শেষে সোনা মিয়াকে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোনা মিয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে খানসামা ইমামগঞ্জ বাজার এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। দিনভর কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুর রাজ্জাকের নেতাকর্মী ও সমর্থক একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছিল। দুপুর আড়াইটায় সোনা মিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাদ আসর কাউনিয়া হারাগাছ নাজিরদহ ইমামগঞ্জ স্কুল এ- কলেজ মাঠে সোনা মিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহ¯্রাধিক মানুষ অংশ নেন। এতে সোনা মিয়া হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া। সেই সাথে তিনি সোনা মিয়ার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সোনা মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মোজাম্মেল হক মোজা নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। নিহতের বড় ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে হারাগাছে কাউনিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য যান। বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর রাতে আবারও খানসামা ইমামগঞ্জ বাজারে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপের কর্মী নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে সোনা মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়।