জামালপুরের বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নের আলির পাড়ায় মোটরসাইকেলের নিচে ছাগল চাপা পড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আবুল কাশেম ওরফে দুলাল মিয়া (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৫ জন। আহতদের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স্রে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আলহাজ¦ আবদুর রাজ্জাককে মুমুর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে বগারচর ইউনিয়নের আলিরপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম ওই এলাকার হাজী আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। এই ঘটনায় বগারচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম লিচু,একই এলাকার মৃত ভোমর বেপারির ছেলে আলহাজ¦ মানিক মিয়া (৫৫) ও রফিকুল ইসলামের ছেলে মাসুৃম মিয়া (২৪) নামে ৩ জনকে আটক করেছে বকশীগঞ্জ পুলিশ।
স্থানীয় জানা গেছে,গত বুধবার দুপুরে বগারচর ইউনিয়নের আলির পাড়া হাইস্কুলের বিএসসি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই এলাকার আদালত মিয়ার ছেলে আবু মিয়ার একটি ছাগলের বাচ্চা তার মোটরসাইকেলের নিচে চাপা পড়ে। এই ঘটনায় আমিনুল ইসলাম ও আবু মিয়ার লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। আমিনুল ইসলাম বিষয়টি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আমানুজ্জামানকে জানায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। দু-পক্ষই মারমুখী অবস্থান নেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে টোটার আঘাতে আবুল কাশেম গুরুতর আহত হলে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ নিহত কাশেমের লাশ উদ্ধার ও এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান সহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তিতে মামলা রুজু করা হবে।