নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গারো হাজং আদিবাসীরা পানিয় জলের অভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। উপজেলার লেঙ্গুড়া, খারনৈ রংছাতি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের ২৬ হাজার মানুষ পানির নিদারুন সংকটে ভুগছে।
বোধবার আদিবাসী বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নৃপেন রংদী বলছিলেন, জীবন বাঁচাতে চাই পানি,এই সীমান্তে কোন পানি নেই,খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে পাহাড়ি ঝর্ণা অথবা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হয়, অন্য উৎসব থেকে পানি আনতে নানান ঝঞ্চাট পোহাতে হয় আদিবাসী নারীদের, অভাবের সংসারে পানি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। এই সীমান্ত অঞ্চলে সুপেয় পানীর তীব্র অভাব। অনেক দুরে দুরে দু'একটা কূপ রিংওয়েল, এগুলোই আদিবাসীদের ভরসাস্থল। সীমান্তে কোন মোটর বা পানির ট্যাঙ্ক নেই, এই প্রান্তিক আদিবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্চ হয়ে দাড়িয়েছে নিরাপদ পানির যোগান দেওয়া। ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ দেশের ৯৮ ভাগ মানুষের পানির কোনো না কোনো উৎস রয়েছে, কিন্তু ওদের উৎস কোথায়? পাহাড়ি অঞ্চলের নারীদের পানি সংগ্রহের সংগ্রামের ছবিগুলোর দৃশ্য ভাবিয়ে তুলে।
দেখা গেছে,দুরবর্তী পাহাড়ি ঝিরি, ঝরনা সমতল থেকে পানি সংগ্রহের নির্মম চিত্র। স্থানীয় জনস্বাস্থ্য তথ্য মতে,. ৯৮ শতাংশ পাহাড়িদের জলের ব্যাবস্থা নির্ভর করে প্রাকৃতিক উৎসবের উপর। তবে সীমান্তে পানির মুল সমস্যার কারণ জানা যায়, পাহাড়ি এলাকায় গভীর নলকূপ করা যায় না। ১০০ থেকে ১৫০ ফুট খননের (বোরিং) এরপর আর গভীরে যাওয়া যায় না। লেঙ্গুড়া সীমান্তর আদিবাসী নারীর মুকুল আজিমের আকুতি, এহানে আমাগোর খাওয়ার পানির খুবই সংকট, কতবার সাহায্যের কথা বলেও আমরা কোন সাহায্যই পাইনা, এহেন সরকারের কাছে আমাদের দাবী, যাতে আমাগোর পানির সংকট নিরসনে বিশেষ পদক্ষেপ নেন।