নাটোরের সিংড়ার দুই অসহায় নারীসহ ৬ জন দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সিংড়ার চলনবিলে ধান কাটার উৎসবের মাঝে অল্প জমির ধান কাটা নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছেন দুই অসহায় নারী এমন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পান্তা সাজিয়ে নিয়ে চকসিংড়া ও সোহাগবাড়ি মাঠে যান। সেখানে অসহায় নারী শুকুরন ও মেহের নেছা বেগমের এক বিঘা জমির ধান কেটে দেন। পরে পান্তা খেতে বসে পাশের আরো চার কৃষক রাসেল, আতাউর রহমান, মারফত আলী ও রওশন হাবীবের আকুতি শুনে তাদের দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বপন কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরশিদুল ইসলাম, গোল-ই-আফরোজ কলেজের এজিএস নাঈম হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেনসহ শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
চকসিংড়া গ্রামের অসহায় নারী শুকুরন বেগম বলেন, স্বামী ও পিতৃহারা একমাত্র মেয়েকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে দিন মজুরি করে তার সংসার চলে। অতিকষ্টে ১০ কাটা জমিতে মিনিগেট ধান লাগিয়েছেন। কিন্তু অল্প জমি আর জমিতে কাঁদাপানি থাকায় ধান কাটা নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়ে যান। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা তার ধান কেটে দেওয়ায় দুঃচিন্তা মুক্ত হয়েছেন।
আর সোহাগবাড়ী গ্রামের দরিদ্র কৃষক মারফত আলী ও আতাউর রহমান বলেন, অল্প জমি হলেই শ্রমিকরা ধান কাটতে চায় না। আর কাটলেও বাড়তি টাকা গুনতে হয়। বিপদের সময় ছাত্রলীগের ছেলে-পেলেরা ধান কেটে দেওয়ায় খুব উপকার হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুরশিদুল ইসলাম বলেন, চলনবিল কৃষি প্রধান এলাকা। আমরা সকলেই কৃষকের সন্তান। সকালে যেমন পান্তা খেয়ে স্কুল ও কলেজে লেখাপড়ার জন্য বেড়িয়ে পড়ি আবার অনেক সময় মাঠে কাজ করতেও পারি। তাই বিপদে-আপদে সব সময়ই চলনবিলের কৃষকের পাশে ছাত্রলীগ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি সজিব ইসলাম জুয়েল বলেন, করোনা, বন্যাসহ সকল দুর্যোগে ছাত্রলীগ অসহায় মানুষের পাশে থেকেছে। তারা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে সিংড়ার চলনবিলের বিধাব নারী ও অসহায় কৃষকদের জমির ধান কেটে দিচ্ছেন।