রংপুর নগরীর মাওলানা কেরামত আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনোয়ার হোসেনের দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার (৩০এপ্রিল) দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কলেজে অবস্থান করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্তে অংশ নেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. চিন্ময় হাওলাদার ও উপ-পরিচালক মীর কাশেম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, কলেজের শিক্ষকদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি। এ সময় তদন্ত কমিটির পক্ষে অধ্যাপক ড. চিন্ময় হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মাওলানা কেরামত আলী কলেজের তদন্ত করতে এসেছি। আমরা কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষকদের সাথে আলাদা আলাদা করে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি যেন বিদ্যমান সমস্যাগুলো আলোচনার প্রেক্ষিতে সমাধান হয়ে যায়। তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতের মধ্যে যদি তারা নিজেরই সমস্যা সমাধান করতে না পারে তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, মাওলানা কেরামত আলী কলেজের সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পরিবারের ৬ সদস্যকে শিক্ষক হিসেবে চাকুরী দেয়া, শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে দূর্ব্যবহার, প্রবাসী বোনের স্বাক্ষর জাল করে ৮ বছর ধরে বেতন-ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরীর পদোন্নতি বন্ধ করাসহ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দূর্নীতির প্রতিবাদ করলে অন্য শিক্ষকদের চাকুরীচ্যুত করাসহ নানা ভয়-ভীতি দেখানোরও অভিযোগ রয়েছে কলেজ সভাপতি’র বিরুদ্ধে।