পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার নকল ভারতীয় ধান বীজ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সোমবার গভীর রাতে এই অভিযান পরিচালনা করে ফকিরগঞ্জ বাজার ও এর আশপাশে নকল ভারতীয় ধান বীজ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মুশফিকুল আলম হালিমের নেতৃতে সোমবার রাত ৯টা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ফকিরগঞ্জ বাজারের আপন বীজ ভান্ডারের মালিক আনিসুর রহমান লেবুর বাড়ি, দোকান ও গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানীর মোড়কে ধানের বীজের ১১১টি বস্তা উদ্ধার করে। প্রতি বস্তায় ভারতীয় মোড়কে ৮ প্যাকেট বীজ বস্তাবন্দি ছিল। এতে ৫৮৪ নকল প্যাকেটকৃত বীজ জব্দ করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ছিল ৬ কেজি করে ধানের বীজ। এদিকে ৩৮ টি বস্তায় ৩৮ মন বীজ ছিল। বীজগুলোর আনুমানিক মুল্য ধরা হয় পাঁচ লাখ টাকা। মঙ্গলবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে এমনটি জানান উপজেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। অভিযান শেষে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে আটোয়ারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরজাহান খাতুন, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ সদস্য কমলেশ চন্দ্র ঘোষ, রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহেদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধারকৃত ধানের বীজগুলো ফকিরগঞ্জ বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে বীজ ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান লেবু পালিয়ে গেছেন। পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সদস্য কমলেশ চন্দ্র ঘোষ ও রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহেদ জানান, রাত ৯টা থেকে তিনটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। জব্দকৃত বীজগুলো আমাদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। আটোয়ারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরজাহান খাতুন বলেন, ভারতীয় মোড়কে ধানের বীজগুলো আমদানি করা হয়েছে কিনা, কিভাবে আনা হয়েছে তা আমাদের এখনও কাগজপত্র দেখাননি। বৈধ কাগজপত্র না থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকালে ওই ব্যবসায়ীর বাসা, দোকান ও গোডাউন থেকে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানীর মোড়কে ধানের বীজের ১১১টি বস্তা উদ্ধার করা হয়। এখন থেকে এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযান শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।