রহনপুর রেলবন্দর ও ভারতের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চাপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার দুুইটি স্থান পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। তিনি প্রথমে রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন পরে উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শিবরামপুর সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করতে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এফবিসিসিআই'র পরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ।
এদিকে সকাল সাড়ে এগারোটায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার রহনপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পৌঁছালে তুলেল তোরা দিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেখানে তিনি উপস্থিত হয়ে রহনপুর রেলষ্টেশনের চারিপাশ ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান, এফবিসিসিআই'র পরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ,রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খান, গোমস্তাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামছুল আজম, গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান, রহনপুর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার, রহনপুর রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার শহিদুল ইসলাম ও সহকারী স্টেশন মাস্টার মামুনুর রশীদসহ রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতা, ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যম কর্মীরা। পরে সেখান থেকে তিনি উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শিবরামপুর সীমান্ত এলাকা পরিশদর্শন করতে যান। ওইখানের সীমান্তের জায়গায়গুলো খোঁজখবর নেন। সেখানে শুণ্যরেখার রেললাইনে দুইদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ অভিবাদন জানান তাঁকে। সেখানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ'র সিঙ্গাঁবাদ ক্যাম্প কমান্ডার আনন্দ শীলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই'র পরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ- ইন্ডাস্ট্রি'র সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বলেন, রহনপুর রেলওয়ে ষ্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার মূলত রহনপুর রেলবন্দর ও ভারতের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি ওই দুটি স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি ব্যবসায়ী ও এলাকায় জনগণের দাবীগুলো তাঁর কাছে তুলে ধরেছেন। তিনি বিষয়গুলো দেখবেন তিনি জানান।