প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কখনো শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আবার কখনো বা অন্যকোন দপ্তরের কর্মকর্তা এরকম পরিচয় দিয়ে চাকুরীতে নিয়োগপত্রের মাধ্যমে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তার কাজ। এমন অভিযুক্ত মুরাদুজ্জামান মুরাদ (৩০) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। গত বুধবার (৩ মে) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে নালিতাবাড়ী পৌরশহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রায়হানা ইয়াসমিন। গ্রেপ্তারকৃত মুরাদ পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার দুপুরিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মুরাদ দীর্ঘদিন যাবত জেলার বিভিন্ন স্থানে সহজ সরল বেকার চাকুরী প্রার্থীদের চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। শুধু তাই নয়, সেসব চাকুরী প্রার্থীদের হাতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল এই প্রতারক। ইতিমধ্যেই সে জেলার অসংখ্য বেকারের কাছ থেকে চাকুরী দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করায় ভুক্তভোগীরা পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রতারক মুরাদকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়ে উঠেছিল। এরইমধ্যে শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর এলাকার জনৈক চাকুরী প্রার্থীকে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে দিয়ে দুই দফায় হাতিয়ে নেয় ৬ লাখ টাকা। ফলে প্রতারণার শিকার ওই ভুক্তভোগী শ্রীবরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে নালিতাবাড়ীতে একই ভাবে প্রতারণা করতে এলে থানা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে শ্রীবরদী থানার এক মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। এ সময় ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, এসআই সাইদুর রহমানসহ আরো অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।