অবশেষে ২০ বছর পর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অবৈধ দখল মুক্ত হলো তিন নারীর মালিকানাধীন প্রায় ৪ বিঘা জমি। ঘটনাটি ঘটছে বুধবার সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার সিংগার বিলে।
ভূক্তভোগী জমির মালিক খোদেজা বেগম ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খরসঙ্গ গ্রামের মৃত বিলায়েত আলী মোড়ল এর স্ত্রী মৃত রাঙ্গা খুকি বিবি পৈত্রিক ওয়ারেশ সূত্রে খরসঙ্গ মৌজায় অন্তত ১০ বিঘা বিলান জমির এস,এ রেকর্ডীয় মালিক।
প্রায় ৩০ বছর পূর্বে রাঙ্গা খুকি বিবি মারা গেলে ১৯৯৩ ভূমি জরিপে ওই জমি ২৮৮ নং আর,এস খতিয়ানে ১৭৯০ দাগ সহ মোট সাতটি দাগে ৩.২০ একর জমি তার তিন মেয়েসহ নাতি-নাতনির নামে রেকর্ড হয়। একপর্যায়ে ওই জমির মধ্যে থেকে তারা ১.৩৭ একর জমি তাদের নিকট আত্মীয় মৃত আনিস শেখের ছেলে আবদুল গফফার শেখ এবং মৃত মাদার শেখের ছেলে হোসেন শেখ এর কাছে প্রায় ২০ বছর ধরে মৌখিক ভাবে বর্গা বা হারি চুক্তিতে দেন।বর্গা(হারি)গ্রহীতারা জমিতে মৎস্য ঘের করে নিয়মিত মাছ ও ধান চাষ করে আসলেও নানা অজুহাতে জমির রেকর্ডীয় মালিক সখিনা বিবি,খোদেজা বেগম ও আছিয়া খাতুন কে তাদের জমির হারি বাবদ কোন টাকা পয়াসা বা ফসলাদী না দিয়ে নানা টাল বাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে জমির মালিকরা বিগত বছর খানেক আগে থেকে জমি ছেড়ে দেয়া বা বুঝিয়ে দেয়ার দাবী জানালেও তারা আমলে নিচ্ছেন না। একপর্যায়ে আজ জমির মালিক তিন বোন স্হানীয় সার্ভেয়ার নিযুক্ত করে জমি মেপে সীমানা পিলার পুতে দিয়ে জমি অবৈধ দখল মুক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল গফফার শেখ ও হোসেন শেখ জানান,জমিটি তাদের ফুফু মরহুম রাঙ্গা খুকি বিবি'র ওয়ারিশদের নামে রেকর্ড এটা সঠিক।কিন্ত জমিটি তারা যুগ যুগ ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।প্রায় ২০ বছর আগে এই জমিটি তারা কেনার জন্যে তাদের ফুফাতো ভাই মৃত আবু তালেব মোড়ল এর সাথে মৌখিক ভাবে চুক্তি করে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু আবু তালেব মারা যাওয়ার জমি আর রেজিস্ট্রি দলিল করে নেয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তারা স্হানীয় রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুজ্জান জানান,গত মঙ্গলবার তার দপ্তরে গফফার শেখ গং ওই জমি সংক্রান্ত একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে হাজির করে নির্দিষ্ট তারিখে জমির কাগজপত্র ও সাক্ষ্য প্রমাণ দেখা সাপেক্ষে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।