যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস করপোরেশন বা আইবিএম বর্তমানে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। বিশ্বের বড় বড় অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই) ওপর জোর দিতে শুরু করেছে। এর প্রভাব সরাসরি পড়তে যাচ্ছে কর্মীদের ওপর। জানা যায়, আগামী কয়েক বছরে ৭ হাজার ৮০০ কর্মী ছাঁটাই করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি। গত সোমবার আইবিএমের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অরবিন্দ কৃষ্ণা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তারা প্রতিষ্ঠানটির এক-তৃতীয়াংশ কর্মী কমানোর ওপর নজর দিচ্ছেন। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতির কারণে ওই সব কর্মী এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। অরবিন্দ কৃষ্ণা আরও জানান, বর্তমানে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। আগামী কয়েক বছরে অন্তত ৭ হাজার ৮০০ কর্মী ছাঁটাই করে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হতে পারে।তবে মঙ্গলবার এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আইবিএমের একজন মুখপাত্র সতর্ক করে বলেন, নিউইয়র্কের আরমঙ্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিরতি নেই। গ্রাহক বা প্রযুক্তির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই এমন পদ পূরণের ক্ষেত্রে তারা খুব নির্বাচনী হচ্ছেন। গত মার্চে পরিচালনা করা যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকসের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এআইচালিত অটোমেশনের জন্য ৩০ কোটির বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বর্তমান কাজের এক-চতুর্থাংশ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যেতে পারে। গত বছরের শেষের দিকে চ্যাটজিপিটির আত্মপ্রকাশ বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) গডফাদার জেফ্রি হিনটন এখন তার কাজের জন্য অনুতপ্ত। এআই আরও উন্নত হলে বিপদের আশঙ্কা করছেন তিনি। আর এই অনুতাপ থেকেই ৭৫ বছরের হিনটন গত সোমবার গুগল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।