জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা নদীর নাব্যতা হারিয়ে জেগে উঠেছে অসংথ্য বালুচর। অস্তিত্ব ও পানি সংকটে পড়েছে দক্ষিন এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ফার্টিলাইজার লিঃ। নদীতে বাণুচর জেগে উঠায় সার তৈরির মূল তরল পদার্থ পানি সরবরাহে বিঘœতা সৃষ্টি হয়েছে কারখানাটিতে। বর্তমানে বিপুল অর্থ ব্যয় করে ৩০টি ডিপ পাম্প মেশিন বসায়ে যমুনা সার কারখানায় পানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।
সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদীঘা ইউনিয়নের কান্দাারপাড়া হতে আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট হয়ে পিংনা ইউনিয়নের রসপাল পর্যন্ত ছোট বড় অসংখ্য বালুচর জেগে উঠেছে। নদীর গতি পথ বন্ধ হয়ে পানির স্রোতধারা ধারা শুকে চর পড়েছে। ফলে এই এলাকার কৃষকদের সেচ নিষ্কাষন, নৌ চলাচল, ফেরি পারাপারসহ কারখানায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ পানি সরবরাহের প্রধান উৎস হিসেবে এই যমুনা নদীর তীরেই ১৯৯৬ সালে যমুনা সার করখানাটি স্থাপিত হয়েছিল।
এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার জিএম(প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন,যমুনার পানি কমে যাওয়ায় নদীর মাঝে বালুচর জেগে উঠেছে। নদী নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। নদীর গতিপথ ও স্রোতধারা বন্ধ হয়ে পানি সরবরাহে বিঘতারœ সৃষ্টি হয়েছে। কারখানার কর্তৃপক্ষ ৩০ টি ডিপ পাম্প সেট করে পানির চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। কিন্তু এ পানিতে আইরন ও অন্যান্য উপাদান শোধন করে ব্যবহার করা অত্যন্ত ব্যয় বহুর ও কষ্টসাধ্য। জরুরী ভিত্তিতে সরকারিভাবে পরিকল্পনা মোতাবেক নদীর গতিপথ ড্রেজিং করে কারখানায় পানি সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
যমুনা সার কারখানার সিবিএ সভাপতি মোযাজ্জেম হোসেন বলেন, দেশের উত্তর অঞ্চলের ১৯ জেলায় যমুনা সার কারখানার সার সরবরাহ করা হয়। পানির জন্য কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার কৃষকেরা কৃষি ক্ষেত্রে বিরাট ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি আরো বলেন, অতি দ্রুত নদীতে জেগে উঠা বালুচর গুলি ড্রেজিং করে পানির গতিপথ ও স্রোতধারা সচল করে পাইপ লাইনরে সংযোগ স্থলে কার্যবরী ভূমিকা নিতে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।
এই অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে সরকারিভাবে পরিকল্পনা মোতাবেক নদী ড্রেজিং করে যমুনা সার কারকানায় পানি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।