মুলাদীতে জমি বিরোধের জেরধরে এক নারীকে কুপিয়ে জখম করেছেন প্রতিপক্ষরা। আহত নারীসহ ওই পরিবারের সদস্যদের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে জমি দখল করার চেষ্টা করা হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের ষোলঘর গ্রামের বাবুল খানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাড়ির জমি নিয়ে ষোলঘর গ্রামের মাসুম খানের সঙ্গে বাবুল খান ও হাসেম কাজীর বিরোধ চলে আসছিলো। কিছুদিন ধরে মাসুম খান লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে যান। এতে হাসেম কাজী বাধা দেন এবং মুলাদী থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ বিরোধ নিস্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার দিন স্থানীয় সালিশদের মাধ্যমে নিস্পত্তির নির্দেশণা দেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সালিশদের উপস্থিতিতে স্থানীয় সার্ভেয়ার সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করেন। ওই সময় পুলিশ না থাকায় মাসুম খান লোকজন নিয়ে সীমানা নির্ধারণের বাধা দেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাসুম খান ও তার লোকজন হাসেম কাজী ও বাবুল খানের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলা থেকে রক্ষা পেতে বাবুল খানের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার ও মেয়ে মিলি বেগমসহ অন্যান্যরা পার্শ্ববর্তী হাসেম কাজীর ঘরে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং মিলিকে মারধর করে। পরে সেখানে তাদের আটকে রেখে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তোলার চেষ্টা করেন তারা। জিম্মি দশা থেকে রক্ষা পেলে মিলি বেগম ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। পরে মুলাদী থানার এসআই আবদুল মালেক ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করেন এবং ইয়াসমিন আক্তার ও মিলিকে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার ম-ল বলেন, ৯৯৯ নম্বরের ফোন পেয়ে দুই নারীসহ অন্যান্যের উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জমি বিরোধ নিস্পত্তির জন্য দুই পক্ষকে নির্দেশণা দেওয়া হয়েছে।