টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের (বল্লা রোড) কাগুজিপাড়া এলাকায় বেগমের নিজ বাড়ীতেই দিনে-রাতে অবাদে সুন্দরী নারীদের দিয়ে রমরমা ভাবে চলছে দেহ ব্যবসা।
কাগুজিপাড়া এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয় কয়েক জনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে আজগর মৌলবীর বাড়িতে তার স্ত্রী বেগম নিজেই বিভিন্ন বয়সের নারীদের দিয়ে দিনে রাতে চুটিয়ে দেহ ব্যবসা করে আলাদিনের যাদুর চেরাগ পাওয়ারমত রাতা রাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে।
স্হানীয়রা জানায়, তাদের আসল বাড়ি বল্লা ইউনিয়নের সরাগী, সেখান থেকে পাইকড়া ইউনিয়নের হাসড়া, তারপর সহদেবপুর ইউনিয়নের পৌজান এবং সর্ব শেষ বর্তমানে কাগুজিপাড়া ১৫ বছর আগে নিজস্ব একটি বাড়ি করে তখন থেকেই বেগম নিজেই অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। বেগমের স্বামী হাইস্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক সে অবসরে আসার পর থেকেই তাকে কোনো তোয়াক্কা না করে এই জমজমাট ভাবে সুন্দরী নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা পুরাদমে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও বেগমের পারসোনাল দালাল ওই ইউনিয়নের বানিয়ারা গ্রামের পিতা মৃত.বছির মিয়ার ছেলে আফসারের মাধ্যমে দেদারছে দেহ ব্যবসা করছে বেগম সহ অসাধু ব্যক্তিরা। এ ব্যাপারে কাগুজিপাড়া এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, বেগমের বাড়িতেই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। শহর থেকে নামীদামী মেয়েদের নিয়ে এসে অবাধে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ছাত্র সমাজ, দৈনিক শ্রমজী ও ব্যাবসাীরা প্রতিনিয়তই চলাফেরা করছে। বিশেষ করে রাতেই খদ্দর মিলেছে বেশি।
বেগম মুঠো ফোনে বলেন, আমি নিজেই একবার ৪শত টাকায় কাজ করি, বাহিরের মেয়েদের রেড বেশি আর একটা ঝামেলা হইছে ফুল বাড়ি থেকে লোকজন কাজ করে বাহির হওয়ার সময় তাদেরকে এলাকার ছেলেরা এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। কয়েকদিন পড়ে আবার মেয়েদের ব্যবস্হা করবো। বেগম আরো বলেন টাকা বেশি হলে যে কোনো জায়গায় গিয়ে কাজ করবো। এ সময় তিনি জানান পুলিশকে ম্যানেজ করেই এসব কাজ চলছে।
আর এসব থানা পুলিশকে মাসিক মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা দিয়ে বেগম চুটিয়ে ব্যবসা চালিয়ে জিরো থেকে হিরো হচ্ছে। যার ফলে দিন-দিন অবৈধ কর্মকা- বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিময়ে নষ্ট হচ্ছে কমলমতি ছেলেদের জীবন। অন্ধকারে ধাপিত হচ্ছে ঐসব কমলমতি ছেলেরা। বেগমের দালাল আফসার বলেন, ওই বাড়ির সামনে ঝগড়া হচ্ছে লোকজন দেখে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তার ব্যবসার সাথে আমি জড়িত নয়ই।
এবিষয়ে কোকডহরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, আমাকে কেউ জানায়নি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমি ঐ এলাকার ওয়ার্ড মেম্বারসহ মাতব্বরদের ডেকে এনে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। সে যেনো এই অপকর্ম কাজ না করতে পারে।
এবিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ অবগত করেনি। তার স্বামী যদি অভিযোগ করে বা এলাকাবাসী কেউ অভিযোগ দায়ের করলে আমরা তাকে ধরে এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।