দিঘলিয়া উপজেলায় জাটকা ও মা ইলিশ মাছ সংরক্ষণে বিভিন্ন নদীতে জাটকা নিধন বিরোধী অভিযান প্রায় সারা বছর ধরে অব্যহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) উপজেলার ভৈরব,আতাই ও মজুদখালী নদীতে জাটকা নিরোধ অভিযান পরিচালিত হয়। দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল, চরঘেরা জাল ও বেহুন্দী জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। উল্লেখ্য গত বছরের শেষ দিকে শুরু হয়েছে জাটকা শিকার বিরোধী অভিযান যা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তর। দিঘলিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, জাটকা ও মা ইলিশ মাছ সংরক্ষণ বর্তমান সরকারের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের এ চ্যালেঞ্জ প্রত্যক্ষভাবে মৎস্য শিকারী ও মৎস্যজীবিদের কল্যাণে। পরোক্ষভাবে সরকারের আয় হবে রাজস্ব যা পরবর্তীতে এই মাছের সাথে যাদের জীবন ও জীবিকা জড়িয়ে আছে তাদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের পিছনে ব্যয় হবে এ অর্থ। এদিকে জাটকা শিকার প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এমনটাই জানান তিনি। এদিকে সাসটেইনেবল কোস্টাল এ- মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের আওতায় গঠিত পানিগাতী চিংড়ি চাষি ক্লাস্টার-০২ এর খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, দিঘলিয়া উপজেলার মৎস্যজীবিদের মাঝে গরুর বকনা বছুর, ছাগল ও খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে প্রণোদনা স্বরূপ। তবুও ফিরছে না মাছ শিকার থেকে। মাছ শিকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা তাদের একমাত্র পেশা। এই পেশার উপরই তাদের জীবন জীবিকার সকল কর্মকা- নির্ভরশীল। এ জনপদের বিজ্ঞমহলের অভিমত জাটকা ও মা ইলিশ শিকার থেকে এদের বিরত রাখতে হলে সেই সময়টার জন্য তাদের অন্য কর্মের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে অথবা ঐ সময় তাদের চাহিদার সিংহভাগ সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনতে হবে। তবেই মা ইলিশ ও জাটকা নিধন বন্ধ হবে। সরকারিভাবে অর্থ ব্যয় করে অভিযান পরিচালনা করার আর প্রয়োজন হবে না।